মোদীর নেতৃত্বে অবলুপ্তির পথে ‘লাল করিডোর’: জানালো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

নয়াদিল্লি: ২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী (Maoists) নির্মূল করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাওবাদী দমন এবং আত্মসমর্পণের ঘটনায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)।

Advertisements

দশক ধরে চলে আসা ‘উগ্র বামপন্থা’-কে ২০১৪-র পর থেকে সফলভাবে দমন করা গিয়েছে বলে জানানো হয়। ২০১৪-তে যেখানে “দেশের ১৮২ টি জেলা যেখানে মাওবাদী সন্ত্রাসের কবলে ছিল, চলতি বছর অক্টোবরের মধ্যে সেই সংখ্যা মাত্র ১১ টি জেলায় পৌঁছেছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে কুখ্যাত লাল করিডোরকে (Red Corridor) সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হবে। দশকের পর দশক ধরে যেসব গ্রাম নকশালবাদের অন্ধকারে ডুবে ছিল, বর্তমানে সেখাণে উন্নয়ন পৌঁছে গেছে, মানুষের অস্ত্র ত্যাগ করে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার ঢল পড়েছে”। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই এই দুঃসাধ্য সাধন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে।

৭৫ ঘন্টায় ৩০৩ নকশালের আত্মসমর্পণ

Advertisements

শুক্রবার মাত্র ৭৫ ঘন্টার মধ্যে ৩০৩ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন, দেশকে নকশালবাদ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করার দিন আর বেশি দূরে নেই। মাওবাদী-মুক্ত এলাকায় এই বছর দীপাবলির উৎসব বিশেষভাবে উদযাপিত হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “এই মাওবাদীরা স্কুল, হাসপাতাল তৈরি করতে দেয়নি। হাসপাতাল থাকলেও ওরা ডাক্তারদের এলাকায় ঢুকতে দিতেন না। বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হত হাসপাতাল, স্কুলের মত অতি প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান। দশকের পর দশক ধরে দেশের সেসব কোণায় উন্নয়ন পৌঁছতেই পারেনি। সেখানকার আমার আদিবাসী, দলিত এবং দরিদ্র ভাই, বোনেরা বঞ্চিত থেকেছেন।