Record-Breaking Monsoon: ফের ৬৪ বছর পর একযোগে বর্ষা এসে পৌঁছাল রাজধানী দিল্লি ও বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত দিল্লির সঙ্গে মুম্বইয়ের বুকেও স্বস্তি ফেরাল বৃষ্টি। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত দিল্লিবাসীর জন্য এই বৃষ্টি স্বস্তি বয়ে আনলেও বর্ষার বৃষ্টিতে গুরুগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্নতা দেখা দিয়েছে যার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এখনও গোটা দেশ জুড়ে সক্রিয় রয়েছে। মুম্বাই সহ গোটা মহারাষ্ট্র জুড়েই রয়েছে বর্ষার প্রভাব। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং হরিয়ানা, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও জম্মুসহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) মহাপরিচালক ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, “দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগামী দুই দিনের মধ্যে অগ্রসর হবে এবং দেশের অন্যান্য অংশেও প্রবেশ করবে”।
মহারাষ্ট্রে বর্ষার আগমন প্রসঙ্গে আইএমডি সুষমা নায়ার বলেছেন, “২৫ জুন থেকে মুম্বাই ও পূর্ব মহারাষ্ট্রে বর্ষা প্রবেশ করেছে। বায়ুচাপ বঙ্গোপসাগরে রয়ে গেছে, তাই এর প্রভাব পড়বে ওড়িশা ও ঝাড়খন্ডে। দ্বিতীয় পরিস্থিতি এমন যে বায়ুচাপের কারণে এটি মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের দিকেও অগ্রসর হবে”।
অন্যদিকে এই ভারী বর্ষণের ফলে ভিলে পার্লেতে অবস্থিত একটি বিল্ডিংয়ের এক অংশ ধসে পড়ে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয় দুইজনের। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুম্বাইয়ে একদিনে বিল্ডিং ধসে পড়ার এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
এছাড়াও আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে, এমন সতর্কতা জারি করে আইএমডি সুষমা নায়ার বলেছেন যে, “ঘূর্ণিঝড়ের একটি সম্ভবনা রয়েছে। সমুদ্রে বায়ুচাপ বৃদ্ধির কারণে, যা উত্তর-পূর্ব গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে। এ জন্য আমরা সতর্কতাও জারি করেছি। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে মুম্বাইয়ের কোঙ্কন বেল্ট অর্থাৎ পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে”।
মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার কঙ্কাভলি কলেজ রোডে ভারী বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ একটি দ্রুতগামী ট্রাকের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। সৌভাগ্যবশত, ট্রাক চালক ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, অন্যথায় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এরপর নগর পঞ্চায়েতের লোকেরা এসে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করেন।
অন্যদিকে পুনে জেলার খেদ শিবপুর এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে পুনে সাতারা হাইওয়ের সার্ভিস রোড জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। এই জল থেকে বের হতে গাড়িচালকদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, অনেক যানবাহনও জলে আটকা পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।