অক্টোবর থেকে সোনা-রুপোর ঋণ পেতে সহজ নিয়ম আনল RBI

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ১ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে চলা নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যার ফলে সোনা ও রুপোর জামানতের বিপরীতে ঋণ নেওয়া আগের…

RBI Digital Payment Security

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ১ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে চলা নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যার ফলে সোনা ও রুপোর জামানতের বিপরীতে ঋণ নেওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হতে চলেছে। নতুন এই নিয়মগুলি ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (MSME) এবং গয়না শিল্পের ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।

Advertisements

নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাংকগুলি ভাসমান সুদের হারে ঋণের ক্ষেত্রে তিন বছর অপেক্ষা না করে চাইলে আগেই ‘স্প্রেড’ কমাতে পারবে। এতে ঋণগ্রহীতারা সুদের বোঝা থেকে তাড়াতাড়ি স্বস্তি পেতে পারেন। এছাড়াও, EMI-ভিত্তিক ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সুদের হারে (Fixed Rate) পরিবর্তনের সুযোগ এখন ব্যাংকের বিবেচনার ওপর নির্ভর করবে, যা আগে বাধ্যতামূলক ছিল।

   

এখন পর্যন্ত সোনা বা রুপোর জামানতের বিপরীতে ঋণ শুধুমাত্র জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু নতুন নিয়মে যারা শিল্প উৎপাদনে বা প্রসেসিং-এ সোনা কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করেন, তারাও এই ঋণের জন্য যোগ্য হবেন।

এছাড়া, আগে শুধুমাত্র নির্ধারিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিই এই ধরনের ঋণ দিত। এখন টায়ার-৩ এবং টায়ার-৪ শহরের আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকগুলিও এই সুবিধা দিতে পারবে। এর ফলে ছোট ব্যবসায়ী এবং মফস্বলের উদ্যোক্তারা সরাসরি উপকৃত হবেন।

আরবিআই প্রস্তাব করেছে যে গোল্ড মেটাল লোনের (GML) পরিশোধের সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ২৭০ দিন করা হবে। এর ফলে জুয়েলারি শিল্পে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির জন্য আরও বেশি সময় পাবেন। এমনকি যারা নিজেরা উৎপাদন না করে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে গয়না তৈরি করান, তারাও এই ঋণের আওতায় আসবেন।

আরবিআই-এর নতুন খসড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যাংক ও ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে ক্রেডিট তথ্য জমা দিতে হবে, আগে যা পাক্ষিক ভিত্তিতে হত। এর ফলে ঋণ সংক্রান্ত তথ্য আরও দ্রুত ও সঠিকভাবে হালনাগাদ হবে এবং গ্রাহকের যোগ্যতা মূল্যায়ন সহজ হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন নির্দেশিকাগুলি সোনা ও রুপোর জামানতের ঋণ প্রক্রিয়াকে আরও নমনীয় ও ব্যবসাবান্ধব করবে। এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, গয়না শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রের জন্য বড় সুবিধা হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি, সুদের হার কমানো এবং তথ্য রিপোর্টিং-এর গতি বাড়ানোর মাধ্যমে ঋণপ্রদান ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে।