ভোপাল: সময়ের আগেই পুড়ে ছাই বিশালাকৃতি রাবণের (Raavan) প্রতীকী কুশপুতুল। যে অনুষ্ঠান দেখার জন্য দশমী বা দশেরার (Dussehra) সন্ধ্যায় হাজার-হাজার মানুষের আসার কথা, দশমীর ভোরেই রাবণের সেই কুশপুতুল জ্বালিয়ে দিল কিছু মদ্যপ যুবক। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা নাগাদ সেই দৃশ্য দেখে হতবাক অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।
ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভোরবেলার রাবন-দহনের (Raavan Dahan) সেই ভিডিও। সেখান একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “লাল গাড়িতে করে কিছু যুবক-যুবতী ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। হাতে সিগারেট এবং মদ্যপ অবস্থায় রাবণের কুশপুতুলের কাছে তাঁদের দেখতে পাওয়া যায়। এরপরেই কোনভাবে রাবণের কুশপুতুলে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁরা”।
আয়োজকদের মাথায় হাত!
আতসবাজি, কুশপুতুলে ঠাসা রাবণের প্রতীকী পুতুল তো সময়ের আগেই পুড়ে ছাই। এই অল্প সময়ের মধ্যে আর একটি রাবণের কুশপুতুল কোথা থেকে জোগাড় হবে, এই নিয়ে আয়োজকদের মাথায় হাত।
দশেরা উদযাপনের অংশ হিসেবে, দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে অসুর রাজা রাবণের বিশাল মূর্তি পোড়ানো হয় যা অশুভের উপর শুভর বিজয়ের প্রতীক। এই মূর্তিগুলিতে আতশবাজি ভরে রাখা হয় এবং একজন রাম সেজে সেই কুশপুতুলে অগ্নিবাণ মারেন।
দুর্গাপুজো বা নবরাত্রিতে অশুভ-আসুরিক শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে মর্তলোকে পাড়ি দেন দেবী দুর্গা। এই বিশ্বাস এবং লোকাচার থেকেই শতাব্দীপ্রাচীন রাবন-বধ বা রাবন-দহনের রীতি প্রচলিত রয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যে। যা দেখার জন্য উপচে পড়ে মানুষের ঢল।