ভারত–আমেরিকা প্রতিরক্ষা সম্পর্কে নয়া অধ্যায়, ১০ বছরের চুক্তি পাকা

Rajnath Singh, US Counterpart Hegseth Ink Historic Agreement Strengthening Indo-US Defence Ties

কুয়ালালামপুর, অক্টোবর ২০২৫: ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ কুয়ালালামপুরে এক ঐতিহাসিক ১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে। দুই দেশের নেতারা আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের পাশাপাশিই** এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

Advertisements

রাজনাথ সিং ও হেগসেথের সাক্ষাৎ কেবল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত আলোচনার অংশ হিসেবেও** গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই নতুন চুক্তি ভারত–মার্কিন প্রতিরক্ষা কাঠামোকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শক্তিশালী করবে, যা দ্বিপাক্ষিক সামরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে।

   

নতুন চুক্তির মূল কাঠামো তিনটি স্তম্ভকে কেন্দ্র করে গঠিত:

  1. কৌশলগত লজিস্টিক সহায়তা (Strategic Logistics): উভয় দেশের মিলিতভাবে লজিস্টিক সুবিধা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সেনা বাহিনীর সরঞ্জাম ব্যবহার সহজতর হবে।
  2. যৌথ উৎপাদন (Joint Production): প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও প্রযুক্তির যৌথ উৎপাদন এবং উন্নয়নকে উৎসাহ দেওয়া হবে।
  3. প্রযুক্তি স্থানান্তর (Technology Transfer): ভারতের স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও আধুনিকীকরণকে সহায়তা করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই চুক্তি ভারতের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ইন্টারঅপারেবিলিটি বা মিলিত কার্যক্ষমতাও বাড়াবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশ একে অপরের সেনা ঘাঁটি, লজিস্টিক সুবিধা ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে, যা দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় এবং কৌশলগত প্রস্তুতিতে এক বড় দিক পরিবর্তন আনবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এই চুক্তি চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ও সামরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, ভারত–যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির মাধ্যমে সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতার নতুন অধ্যায়** শুরু করছে।

Advertisements

চুক্তির আওতায় উভয় দেশ একসঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা কাঠামোকে আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করবে। এটি বিশেষভাবে দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে চীনের আক্রমণাত্মক নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে।