‘নাগরিকদের রক্ষায় সীমান্ত পেরোতেও দ্বিধা নেই’, হুংকার রাজনাথের

কলকাতা: দেশের নাগরিক সুরক্ষা ও অখণ্ডতা রক্ষার প্রশ্নে সীমান্ত পেরোতে দ্বিধা করেনি ভারত৷ ভবিষ্যতেও করবে না৷ কড়া ভাষায় হুংকার দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার জৈন…

Rajnath Singh Operation Sindhoor

কলকাতা: দেশের নাগরিক সুরক্ষা ও অখণ্ডতা রক্ষার প্রশ্নে সীমান্ত পেরোতে দ্বিধা করেনি ভারত৷ ভবিষ্যতেও করবে না৷ কড়া ভাষায় হুংকার দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার জৈন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JITO)-এর আয়োজিত ‘জিটো কানেক্ট’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এনডিএ সরকার প্রমাণ করেছে যে ভারতের গৌরব ও মর্যাদার প্রশ্নে কোনও আপস হয় না।

Advertisements

তিনি ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯ সালের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক এবং চলতি বছরের অপারেশন সিঁদুর-এর কথা উল্লেখ করে জানান, প্রয়োজনে ভারত সবসময়ই সীমান্ত পেরিয়ে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

   

“ধর্ম নয়, লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাস”

পহেলগাঁও-এর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতদের ধর্ম দেখে চিহ্নিত করা হলেও, ভারত প্রতিশোধ নিতে কখনও পাকিস্তানের কোনও সামরিক বা বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানেনি বলে স্পষ্ট করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল কেবল সন্ত্রাসবাদী কেন্দ্রগুলিকে ধ্বংস করা। আমরা চাইলে আগে থেকেই অন্য স্থানে আঘাত হানতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি।”

অপারেশন সিঁদুর: ভারতীয় প্রতিশোধের নয়া অধ্যায় Rajnath Singh Operation Sindhoor

গত ৭ মে পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত চালায় অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বাহিনী। পাশাপাশি পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়। প্রবল চাপে পড়ে অবশেষে ১০ মে ইসলামাবাদ ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানাতে বাধ্য হয়।

ভারতের সামরিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্য

তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট—মোদী সরকারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি কোনও প্রকার প্রাধান্য বিস্তার বা আধিপত্য কায়েমের উদ্দেশ্যে নয়। বরং এর লক্ষ্য দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং প্রতিটি নাগরিকের জীবন রক্ষা করা।

রাজনাথ সিং আরও বলেন, “ভারতের গৌরব ও মর্যাদার প্রশ্নে আমরা কখনও আপস করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯-এর এয়ারস্ট্রাইক কিংবা ২০২৫-এর অপারেশন সিঁদুর—প্রতিটি ঘটনাই প্রমাণ করেছে প্রয়োজনে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে শত্রুর ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম।”