“অদৃশ্য যুদ্ধের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন”, সেনাকে বার্তা রাজনাথ-এর

কলকাতা: যুদ্ধ কেবল সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও কামানের লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ নয়, আজকের সংঘাত অনেক বেশি অদৃশ্য, জটিল এবং বহুমাত্রিক। মঙ্গলবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত Combined Commanders’ Conference 2025-এ…

Rajnath Singh Future Warfare

কলকাতা: যুদ্ধ কেবল সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও কামানের লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ নয়, আজকের সংঘাত অনেক বেশি অদৃশ্য, জটিল এবং বহুমাত্রিক। মঙ্গলবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত Combined Commanders’ Conference 2025-এ এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রচলিত যুদ্ধধারণার গণ্ডি পেরিয়ে নতুন প্রজন্মের হুমকির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ

রাজনাথ সিং বলেন, “তথ্যযুদ্ধ, মতাদর্শগত যুদ্ধ, পরিবেশগত সঙ্কট কিংবা জৈবিক আক্রমণ, এগুলোই আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের বাহিনীকে এগুলির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, ড্রোন ও মানববিহীন যুদ্ধযানের (UAV) ব্যবহার ইতিমধ্যেই ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।

   

‘অপ্রত্যাশিত ও দীর্ঘায়িত যুদ্ধের’ সতর্কতা Rajnath Singh Future Warfare

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে দেন যে আজকের যুদ্ধ হঠাৎ শুরু হতে পারে এবং কতদিন চলবে তা অনুমান করা অসম্ভব। তাঁর কথায়, “দুই মাস, এক বছর কিংবা পাঁচ বছরও হতে পারে। আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। আমাদের ‘সার্জ ক্যাপাসিটি’ যথেষ্ট শক্তিশালী থাকা জরুরি।”

মোদীর কল্পিত “সুদর্শন চক্র” গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্ধুর প্রমাণ করেছে যে শক্তি, কৌশল আর আত্মনির্ভরতা-এই তিন স্তম্ভই ২১শ শতকে ভারতের প্রকৃত শক্তি গড়বে।” রাজনাথ আরও যোগ করেন, দেশীয় প্রযুক্তি ও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জওয়ানদের অদম্য সাহসই আজ আত্মনির্ভর ভারতের মেরুদণ্ড।

Advertisements

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন দিশা: JAI মন্ত্র

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আধুনিকীকরণ, প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কেন্দ্র করেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাত এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেওয়া “JAI মন্ত্র”—যথা Jointness, Aatmanirbharta এবং Innovation-(যৌথতা, আত্মনির্ভরতা এবং উদ্ভাবন)-কে  সামনে রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

রাজনাথ সিং শিল্প ও শিক্ষাজগতের সঙ্গে আরও গভীর সহযোগিতার আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি উন্নয়নে ভারত অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে শক্তিশালী শিল্পখাতে পরিণত করাই আগামী লক্ষ্য।