(Rajasthan:) শ্বশুরবাড়ি থেকে চাহিদা মতো মেলেনি পণের টাকা। তাই গায়ের ঝাল মেটাতে স্বামী গণধর্ষণের জন্য স্ত্রীকে তুলে দিল নিজের আত্মীয়দের হাতে। যৌন নির্যাতনের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করল স্বামী।
কীর্তিমান স্বামী স্ত্রীকে জানাল, এই ভিডিও থেকে প্রাপ্ত অর্থে উঠে আসবে পণের টাকা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভরতপুরে।ওই ব্যক্তির স্ত্রী ভরতপুরের কামান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানার অফিসার দৌলত সাহু জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ভরতপুরের ওই ব্যক্তির সঙ্গে মহিলার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় ওই মহিলার বাপের বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা পণ দাবি করেছিলেন তাঁর হবু বর। সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ ওই মহিলার বাড়ির লোকেদের ছিল না। সে কারণে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে ওই মহিলার উপর প্রতিদিনই চরম অত্যাচার চলত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক সময় বাপেরবাড়ি ফিরেও গিয়েছিলেন ওই মহিলা। স্ত্রীকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে, অত্যাচার হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বামী। এরপরই ওই মহিলা আত্মীয়দের যৌন লালসার শিকার হন।
ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যখন বুঝতে পারে অত্যাচার করেও পণ মিলবে না তখনই তারা এই ঘৃণ্য পরিকল্পনা করে। গণধর্ষণের জন্য আত্মীয়দের হাতে তাঁকে তুলে দেয় স্বামী। গোটা ঘটনা মোবাইলে রেকর্ডিং করে ইউটিউবে আপলোড করে দেওয়া হয়।
মহিলা বলেছেন, তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন এমন এক ব্যক্তির কাছ পালিয়ে আসেন। এর পরেই থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।