ভারতীয় রেলে কী অন্তর্ঘাতের (railway sabotage) সম্ভাবনা বাড়ছে? একের পর এক দুর্ঘটনা নেপথ্যে কী কোনও বড় চক্রান্ত? সোমবার ভোরে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডায় রেললাইনের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায় লোহার রড। এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি লোহার রড একত্রিত করে ফেলে রাখা ছিল লাইনের উপর।
কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ট্রেন লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্যে কোনও দুষ্কৃতীর দল এই কাজ ঘটিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পঞ্জাবের রেলপুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে তিনটে নাগাদ। এদিন ভাটিন্ডা-দিল্লি লাইনে নয়টি লোহার রড ফেলে রেখেছিল। ওই লাইন দিয়ে তখন একটি মালগাড়ি চলছিল। কিন্তু মালগাড়ির চালক হঠাৎ সেই রডগুলি দেখতে পাওয়ায় আচমকা ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। পরে খবর পেয়ে ছুটে আসে রেল পুলিশ।
রবিবারই উত্তরপ্রদেশের রেললাইনে সিলিন্ডার উদ্ধার হয়। সম্প্রতি শিলিগুড়ি সংলগ্ন সেবকের কাছেও রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছিল নির্মান সামগ্রী। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর এই দুমাসে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সহ সাতটি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলের একটি রিপোর্টে বলা হয়, অগস্ট-সেপ্টেম্বরে অন্তত ১৮ বার ট্রেন বেলাইন করার চেষ্টা হয়েছে। শুধু অগস্টেই ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিন বার চেষ্টা করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেললাইন ও রেল স্টেশনের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্র।