আবার ভারত জোড়ো যাত্রা? কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে দেশের এপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত জনসংযোগ কর্মসূচিতে নামছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)? এরকমই প্রশ্ন ঘুরছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির অন্দরে। বাড়ছে অস্বস্তি। বিজেপির অন্দরেই চর্চা, সাংসদ পদ বাতিল হওয়ায় সংসদে সময় দিতে হবে না রাহুল গান্ধীকে। তিনি রাজপথে জনসংযোগ কর্মসূচি বেছে নেবেন।
এদিকে সাংসদ পদ বাতিল হতেই বিশ্বজুড়ে ট্রেন্ডিংয়ে রাহুল গান্ধী। সর্বত্র তাঁকে নিয়ে চর্চা। রীহুল জানিয়েছেন লড়াই জারি থাকবে। তিনি কী করবেন তা স্পষ্ট করেননি। শাসক বিজেপির অন্দরে চর্চা রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রার আদলে আরও বড় কোনও কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন।
লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা ছন্নছাড়া আর বিজেপি সংগঠিত। এরকম রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে মোদী সরকার স্বস্তিতে। বিজেরির অভ্যন্তরীণ হিসেব আসন সংখ্যার কিছু হেরফের হলেও ফের তাদেরই সরকার হবে। অন্যদিকে অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি জোট তৈরি করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই জোট আদৌ বাস্তবায়িত হবে না বলেই বিজেপির ধারণা। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোট হলেও খোদ কংগ্রেস নড়বড়ে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল ইস্যু অনেক হিসেব ভেঙে দিল।
কংগ্রেসের বিরোধী হলেও রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিলের প্রতিবাদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও প্রতিবাদে সামিল। সিপিআইএম, সিপিআই সহ বাম দলগুলির তরফে এসেছে প্রতিবাদ। সবপক্ষের এক কথা, গণতন্ত্রের উপর আঘাত। প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ মোদী সরকারের।
অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক। সেই মামলায় রাহুল গান্ধীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। কিছু পরে হয় জামিন। যেহেতু গ্রেফতারের নির্দেশ তাই জনপ্রতিনিধি আইনে সাংসদ পদ বাতিল হলো রাহুল গান্ধীর। তিনি কেরলের ওয়েনাড থেকে সাংসদ ছিলেন।
আইন অনুসারে আগামী ছয় বছর তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করতে পারবেন না। সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।