প্রথম বক্তব্যেই বিতর্কের সাইক্লোন! হিন্দুত্ব দিয়ে রাহুল দেখালেন বিরোধিতা কাকে বলে

বিরোধী দলনেতা (Rahul Gandhi) হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণ। আর তাতেই সংসদের মধ্যে বিতর্কের ঝড় নয়, একেবারে সাইক্লোন বইয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।…

বিরোধী দলনেতা (Rahul Gandhi) হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণ। আর তাতেই সংসদের মধ্যে বিতর্কের ঝড় নয়, একেবারে সাইক্লোন বইয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায়, খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যেকেই শেষমেষ তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করেন রাহুলকে (Rahul Gandhi)। সবমিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিনে সংসদে একেবারে টানটান অ্যাকশন দেখা গেল। তবে সেই অ্যাকশন যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির।

সোমবার শিব, হজরত মহম্মদ, গুরু নানক এবং যীশু খ্রিষ্টের ছবি নিয়ে সংসদকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ভরা সংসদ কক্ষে শিবের ছবি দেখিয়ে ত্রিশূল এবং অভয় মুদ্রার সাথে কংগ্রেসের যোগসূত্র নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখার মাঝেই স্পিকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কোন ধর্মীয় ছবি বা প্রতীক নিয়ে সংসদের অভ্যন্তরে কোনরকম বক্তৃতা বা প্রবেশ করা অনুচিত। নিয়ম সবাইকেই মেনে চলতে হবে।

   

ভারতীয় নাগরিকই নন? সাংসদ পদ বাতিলের দাবিতে রাহুলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা!

কিন্তু তারপরেই হিন্দুত্ব নিয়ে রীতিমতন অপমানজনক কথা বলেছে এরকম অভিযোগ শুরু হয় বিজেপির তরফ থেকে। সংসদের অভ্যন্তরে রাহুল এদিন বলেন, বিজেপির যারা নিজেদের বড় হিন্দুত্ববাদী বলে মনে করেন, তাঁরা কথায় কথায় মিথ্যা বলেন, হিংসা ছড়ান, ঘৃণা ছড়ান, অত্যাচার করেন। প্রকৃত হিন্দুত্ব কখনই এসব অন্যায় করতে শেখায় না।

এরপরই আসরে নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাহুলের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তারা বলেন কোটি কোটি ভারতীয় হিন্দুদের অপমান করছেন রাহুল। বিজেপি শিবিরের তীব্র হৈ হট্টগোলে রীতিমতো শব্দের ঝড় বয়ে চলেছে তখন সংসদ কক্ষের ভিতরে। অবশ্য বিজেপি শিবিরকে রাহুলের কটাক্ষ, “ওরা হয়ত কথা বলার জন্য ওয়ার্ম আপ করছেন”। ওয়ার্ম আপের বহর এতটাই যে নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে হিংসাশ্রয়ী বলে দেগে দেওয়া খুবই বিপজ্জনক’। ওদিকে নিজের করা বক্তব্যের জন্য রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বলে দাবি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।

সংবিধান মেনেই ‘দন্ড’-র পরিবর্তে ‘ন্যায়’, বিরোধীদের চুপ করাতে মুখ খুললেন অমিত শাহ

কিন্তু প্রথমদিনেই রাহুলের এরকম আগুনে পারফরম্যান্সে রীতিমতো উজ্জীবিত কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া শিবির। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিরোধী দলনেতাহীন সংসদ দেখার পরে এরকম একটা জমকালো এন্ট্রিরই যেন প্রতীক্ষা করছিলেন তাঁরা। সেইসঙ্গে রাহুলও বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের জন্য যেন মরিয়া ছিলেন। কথায় বলে, দিনের শুরু দেখেই দিনের শেষ বোঝা যায়। সেটা যদি সত্যিই হয়, তাহলে এবার অন্তত এনডিএ শিবির এবং বিজেপিকে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তেই হবে বিভিন্ন ইস্যুতে। সেটারই স্পষ্ট ইঙ্গিত বোধহয় রাহুল আজ তার প্রথম ভাষণেই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন।