লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote 2024) আগে ফের একবার বিপাকে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আবারও একবার সেই মানহানি মামলায় আজ তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিগত ২০১৮ সালে বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর আদালতে হাজিরা দিতে হবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল বিজেপি। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই একই মামলায় আজ হাজিরা দেবেন রাহুল গান্ধী। সকাল ১১টায় সুলতানপুর আদালতে তোলা হবে রাহুল গান্ধীকে। এরপর দুপুর ২টো থেকে রায়বরেলিতে যাত্রা শুরু হবে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স-এ এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি সকালে সুলতানপুরের উত্তরপ্রদেশ জেলা আদালতে হাজির হওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীকে সমন পাঠানো হয়েছে। মামলাটি ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট এক বিজেপি নেতার দায়ের করা মানহানির মামলা সম্পর্কিত। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা মঙ্গলবার সকালে থামবে এবং ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় আমেঠির ফুরসাতগঞ্জ থেকে তার কর্মসূচি শুরু করবে।
অভিযোগকারী বিজয় মিশ্র বলেন, ‘রাহুল গান্ধী বেঙ্গালুরুতে অমিত শাহের বিরুদ্ধে খুনির অভিযোগ এনেছিলেন। যখন আমি এই অভিযোগগুলি শুনেছি, তখন আমি ব্যথিত হয়েছি কারণ আমি ৩৩ বছর ধরে দলের (বিজেপি) জন্য কাজ করছি। এটি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে ঘটেছে এবং এটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে অব্যাহত ছিল।’
বিজয় মিশ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করে দেখাতে পারলে তাঁর সর্বোচ্চ দু’বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ২০০৫ সালের ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত অমিত শাহকে মুক্তি দেওয়ার চার বছর পর রাহুলের এই বক্তব্য এলো। সেই সময় গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে সমন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে অসম পুলিশও। গত মাসে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা গুয়াহাটিতে প্রবেশের সময় যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সমন পাঠানো হতে পারে। এফআইআরে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ, শ্রীনিবাস বিভি, কানহাইয়া কুমার, গৌরব গগৈ, ভূপেন কুমার বোরা এবং দেবব্রত শইকিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন কংগ্রেস কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও দলীয় কর্মী আহত হন।