Karnataka Assembly Election: আমুলের পর এবার দ্রাবিড় রাজ্যে ‘ঝাল’ ধরাল গুজরাটি ‘পুষ্পা’

আমুলের (Amul) দুধ ও দইয়ের মতো পণ্যের প্রবেশ নিয়ে কর্ণাটকে তোলপাড় হয়েছে। কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) জন্য তোলপাড় চলছে এমন সময়ে এই হট্টগোল হয়েছে

Pushpa chilli Karnataka

আমুলের (Amul) দুধ ও দইয়ের মতো পণ্যের প্রবেশ নিয়ে কর্ণাটকে তোলপাড় হয়েছে। কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) জন্য তোলপাড় চলছে এমন সময়ে এই হট্টগোল হয়েছে। আমুলের পর এবার কর্ণাটকের রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি করেছে গুজরাটের ‘পুষ্পা’ ব্র্যান্ডের মরিচ (Pushpa chilli)। এই মরিচ লালি নামেও পরিচিত। বলা হচ্ছে যে এই মরিচের একটি বড় চালান কর্ণাটকের স্থানীয় বাজারে পৌঁছেছে, যার কারণে বিরোধীরা এখন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হতে পারে।

সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে যে কর্ণাটকের ব্যাডগি বাজারে প্রায় ২০,০০০ কুইন্টাল গুজরাটি মরিচ বিক্রি হয়েছে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় মরিচের বাজারের মধ্যে ব্যাদগী বাজারের নামও রয়েছে। তবে স্থানীয় ডাব্বি ও কদ্দি জাতের মরিচের সঙ্গে পুষ্পা মরিচের কোনো প্রতিযোগিতা নেই বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, হঠাৎ করে মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যাদগী বাজারের প্রায় ৭০টি মরিচ বিক্রেতা গুজরাটি মরিচ বিভিন্ন হিমাগারে মজুদ করে রেখেছেন, যার কারণে ‘পুষ্পা’ মরিচ অনেক লাভবান হয়েছে। ডাব্বি ও কদ্দি জাতের তৈরি ব্যাদগী মরিচের বাজারে নিজস্ব পরিচিতি তৈরি হয়েছে। বহু দেশ ও কোম্পানি বছরের পর বছর ধরে ব্যাডগি মরিচের ওপর নির্ভরশীল। স্থানীয় লোকজন বলছেন, এখন পুষ্পা মরিচের কারণে দেশি মরিচের ব্র্যান্ড যাতে বিপদে না পড়ে সেদিকে সরকারের উচিত।

২০২১-২২ সালে জাতীয় উদ্যানপালন বোর্ডের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা মরিচের বৃহত্তম উৎপাদনকারী। ভারতে মরিচ উৎপাদনে উভয় রাজ্যেরই প্রায় ৬০ শতাংশ অংশ রয়েছে। একই সময়ে, মরিচ উৎপাদনে কর্ণাটকের অংশ ১০ শতাংশ এবং এটি চার নম্বরে রয়েছে। এই তালিকার সাত নম্বরে রয়েছে গুজরাট, যেখানে এক শতাংশের একটু বেশি মরিচ উৎপাদন হয়।