Operation Amritpal: অমৃতপাল আইএসআই যোগে ‘আনন্দপুর খালসা ফোর্স’ তৈরির চেষ্টা

খালিস্তান সমর্থক ও ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিং-এর (Amritpal) সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগসূত্র সামনে এসেছে।

খালিস্তান সমর্থক ও 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিং-এর (Amritpal) সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগসূত্র সামনে এসেছে।

খালিস্তান সমর্থক ও ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিং-এর (Amritpal) সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগসূত্র সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি, অমৃতপাল আইএসআই-এর সহায়তায় আনন্দপুর খালসা বাহিনী গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার বাড়ি ও সঙ্গীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের গায়ে একেএফ (আনন্দপুর খালসা ফোর্স) লেখা পাওয়া গেছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ধর্মের নামে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পাঞ্জাবের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। জলন্ধর রেঞ্জের ডিআইজি স্বপন শর্মা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে অমৃতপালের সংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি স্বপন শর্মা জানিয়েছেন, যে মার্সিডিজ গাড়িতে অমৃতপাল যাতায়াত করতেন, সেটি মাদক চোরাচালানকারী রণদীপের ভাইয়ের, যিনি পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন। গাড়িটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তদন্ত করা হচ্ছে। এই গাড়ির টাকা কোথা থেকে এসেছে এবং এর সঙ্গে অমৃতপালের কী সম্পর্ক? অন্যদিকে, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিং দুবাইতে ট্রাক চালকের কাজ করতেন। তিনি দুবাইতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সংস্পর্শে আসেন। অমৃতপালকে বলা হয়েছে ধর্মের নামে নিরীহ যুবকদের ফাঁসানোর জন্য। এর জন্য টাকা দেবে আইএসআই।

খালিস্তান সমর্থক ও 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিং-এর (Amritpal) সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগসূত্র সামনে এসেছে।
অমৃতপাল আইএসআই-এর সহায়তায় আনন্দপুর খালসা বাহিনী গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার বাড়ি ও সঙ্গীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের গায়ে একেএফ (আনন্দপুর খালসা ফোর্স) লেখা পাওয়া গেছে।

অমৃতপালের সংযোগ যুক্তরাজ্যের (ইউকে) সাথেও যুক্ত হচ্ছে। ইউকে-ভিত্তিক শিখ মৌলবাদী এবং শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) সহ-সভাপতি অবতার সিং খান্দার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। খান্দা সন্ত্রাসবাদী জগতার সিং তারার ঘনিষ্ঠ। পাকিস্তানে বসবাসরত খালিস্তানি নেতারা নয়াদিল্লিতে নেতাদের ওপর হামলা এবং পাঞ্জাবে ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল। এতে ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের প্রধান লক্ষবীর সিং রোডের নেতৃত্বে ছিলেন এবং পরোক্ষভাবে অমৃতপাল সিং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।

Advertisements

উচ্চপদস্থ সূত্রের মতে, আইবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যে পাঞ্জাবে সব ঠিক নেই। আইএসআই তার পা ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং খালিস্তান অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের যুবকরা বিপথে যাচ্ছে। এই রিপোর্টের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।