ত্রিপুরার (Tripura) মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়করা যেন বাড়ি থেকে বের হলেই লাঞ্ছিত হবেন এটা ধরে নিচ্ছেন। প্রায় রোজই কোনও না কোনও মন্ত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন, বিশেষত পার্বত্য ত্রিপুরার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায়। শুক্রবারের পরিস্থিতি আরও বিতর্কিত। উত্তেজিত জনতার তাড়া খেলেন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। তাঁকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ হলো।
ত্রিপুরার শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া পরপর দুদিন আক্রান্ত ও লাঞ্ছিত হলেন। তাঁকে তাড়া করছে উত্তেজিত জনতা এমন ভিডিও ভাইরাল। তাঁর অবস্থা অনেকটা জনরোষে শ্রীলংকার পলাতক মন্ত্রীর মতো। এমনই কটাক্ষ উড়ে আসছে। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে জনতার বিক্ষোভ অচল শ্রীলংকা।
মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া নিজে উপজাতি সম্প্রদায়ের। তিনি বাগমা বিধানসভার বিধায়ক। ত্রিপুরার আদিবাসী ও পাহাড়ি জনজাতি গোষ্ঠির এলাকায় (এডিসি) ভোটে শাসকদল বিজেপির অস্তিত্ব শূন্য। গত বোর্ড সিপিআইএমের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তিপ্রা মথা দল।
অভিযোগ, শুক্রবার সকালে সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের মোরা বাইগা বাড়ি যাওয়ার পথে মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়াকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযোগের তির তিপ্রা মথার দিকে। কোনওরকমে মন্ত্রীকে ভিড় থেকে বের করে রক্ষীরা। শুরু হয় বিক্ষুব্ধ জনতার তাড়া।
জানা গিয়েছে, সিমনার দারোগামুড়া স্কুলে এদিন স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। প্রচুর সংখ্যক মহিলা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং মন্ত্রীকে বের করে।
রাজ্যের ৪ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই প্রচার বাড়ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের। শাসক বিজেপি, বিরোধী দল সিপিআইএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ক্ষমতাধর তিপ্রা মথা সক্রিয়। নির্বাচনী প্রচার ও সাংগঠনিক সভায় যেতে গিয়ে বৃহস্পতিবারও আক্রান্ত হন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া ও দলীয় নেত্রী পাতালকন্যা জমাতিয়া। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর হয়। শুক্রবার তিনি ফের আক্রান্ত হলেন।
রাজ্যে গত বিধানসভা ভোটে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে সরকার গড়ে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট। কিন্তু কর্মসংস্থা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারায় বিপুল জনরোষে পড়ছে সরকার।