Prostitution Racket: স্পা সেন্টার ‘পাখি’র আড়ালে দেহ ব্যবসার পর্দা ফাঁস পুলিশের

গাজিয়াবাদের ট্রান্স হিন্দন এরিয়া (টিএইচএ) এর আরেকটি স্পা সেন্টারে দেহ ব্যবসা চক্রের (Prostitution Racket ) পর্দা ফাঁস হয়েছে। পাখি নামের এই স্পা সেন্টারটি জয়পুরিয়া মলে চলছিল।

Prostitution Racket Spa Center

গাজিয়াবাদের ট্রান্স হিন্দন এরিয়া (টিএইচএ) এর আরেকটি স্পা সেন্টারে দেহ ব্যবসা চক্রের (Prostitution Racket ) পর্দা ফাঁস হয়েছে। পাখি নামের এই স্পা সেন্টারটি জয়পুরিয়া মলে চলছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুই প্রকৃত ভাই, দুই গ্রাহক ও সাত তরুণীকে আটক করে পুলিশ। মেয়েরা বলেছে তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রাহক ও মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

গাজিয়াবাদের ট্রান্স হিন্দন এরিয়া (টিএইচএ) এর আরেকটি স্পা সেন্টারে পতিতাবৃত্তির ফাঁস হয়েছে। পাখি নামের এই স্পা সেন্টারটি জয়পুরিয়া মলে চলছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে দুই প্রকৃত ভাই, দুই গ্রাহক ও সাত তরুণীকে আটক করে পুলিশ। মেয়েরা বলেছে তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রাহক ও মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

   

পুলিশ জানিয়েছে, নীতি খণ্ডের বাসিন্দা রিংকু ও সাজন ওরফে অমিত জয়পুরিয়া শপিং কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের সিঁড়ির কাছে পাখি স্পা সেন্টার চালাচ্ছিল। এতে গাজিয়াবাদ ও নয়ডার সাতজন মেয়েকে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গোপনে এই কেন্দ্র চলছে বলে খবর পায় পুলিশ। ভিতরে পতিতাবৃত্তি চলাকালীন প্রদর্শনের জন্য গেট বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ অভিযানে গেলে গেট বন্ধ পাওয়া যায়। গেট খোলা হলে কেবিনের ভেতরে যুবক-যুবতীকে পাওয়া যায়। দুই ঘণ্টার অভিযানের পর স্পা সেন্টারের মালিকরা, খদ্দের হিমাংশু ও হর্ষ এবং মেয়েদেরকে থানায় নিয়ে আসে। ২১ দিনের মধ্যে এটি পুলিশের দ্বিতীয় বড় পদক্ষেপ। এর আগে ২৩ মে প্যাসিফিক মলের সাতটি স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ১০০ জনকে আটক করা হয়েছিল।

স্পা সেন্টারে পতিতাবৃত্তির খবর পেয়ে ডিসিপি বিবেক চন্দ্র প্রমাণ সংগ্রহ করতে একজন শার্পশুটার পাঠান। সৈনিক গেল খদ্দের হয়ে। তিনি প্রথমে ম্যাসেজের কথা বলেছেন। বিষয়টি সামনে নিয়ে তিনি জানতে পারেন স্পা সেন্টারে ব্যবসা চলছে। মালিক তাকে চেম্বারে পাঠানোর সাথে সাথে তিনি ডিসিপিকে ফোন করেন। ডাকের অপেক্ষায় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ডিসিপি পুরো দল নিয়ে পৌঁছে অভিযান চালান। শুধু অভিযানকারী দলই এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত ছিল। নিকটবর্তী নীতি খন্ড পোস্টকেও জানানো হয়নি।

জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েরা জানায়, তারা স্পা সেন্টারের মালিকদের কাছে চাকরি চাইতে গিয়েছিল। দুই-চার দিন ধরে তাদের মাসাজ ও অন্যান্য ধরনের বিউটি ফেসিয়াল করানো হয় গ্রাহকদের জন্য। এরপর প্রথমে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দিয়ে ভিডিও করে। ভিডিওটি দেখিয়ে তারা বলেন, চাকরি ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল করা হবে। তিনি বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে থাকেন। ডিসিপি বিবেক চন্দ্র বলেছেন যে মেয়েরা মালিক ও অপারেটরদের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ এনেছে। মেয়েরা মালিকদের বিরুদ্ধে তাদের আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগও করেছে।

এসিপি ইন্দিরাপুরম স্বাধীন কুমার সিং জানিয়েছেন, স্পা সেন্টারের মালিক ও গ্রাহকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে হাজির করা হবে। স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তথ্য পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।