Uttarkashi: উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজের ক্যাপ্টেন ডিস্ক, কে তিনি?

উত্তরকাশীর নির্ণীয়মান সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে এখনও আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরিতে অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে চলছে উদ্ধারকাজ। টানেলের অন্ধকূপে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে তাঁদের…

short-samachar

উত্তরকাশীর নির্ণীয়মান সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে এখনও আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরিতে অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে চলছে উদ্ধারকাজ। টানেলের অন্ধকূপে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে তাঁদের বের করে আনার জন্য পথ খোঁজা সবটাই চলছে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শেই। তাঁর নাম আর্নল্ড ডিক্স (Professor Arnold Dix)। আন্ডারগ্রাউন্ট টানেল এক্সপার্ট।তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা।

   

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ১৩ দিন ধরে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। ONGC, SJVNL, RVNL, NHIDCL এবং THDCL-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেনঅস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল টানেলিং অ্যান্ড আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আর্নল্ড ডিক্সও।

কে এই অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স? 

অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স আন্ডারগ্রাউন্ড পরিবহন পরিকাঠামো বিশেষজ্ঞ। তিনি নির্মাণকার্যের ঝুঁকি থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলিতেও বেশ দক্ষ। তিনি এই সমস্ত বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নির্মাণে বিশ্বের সেরা বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত। 

অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স ২০১১ সালে অ্যালান নেল্যান্ড অস্ট্রেলেশিয়ান টানেলিং সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক পুরষ্কার পেয়েছিলেন। আর্নল্ড ডিক্স, একজন আইনজীবীও, ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ ইনভেস্টিগেটরসের সদস্য। তিনি সব দেশেই সক্রিয়। তিনি একাধিক দেশের আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়ার্কস চেম্বারের সদস্য এবং টোকিও সিটি ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল (টানেল) এর ভিজিটিং অধ্যাপক। তার তিন দশকের কর্মজীবনে ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূতত্ত্ব, আইন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলির একটি অনন্য মিশ্রণ দেখা গেছে।

সম্প্রতি, ২০২২ সালে, তিনি আমেরিকার ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক কমিটি সার্ভিস পুরস্কারেও ভূষিত হন। উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরপরই আর্নল্ড ডিক্স সিল্কিয়ারা টানেল পরিদর্শনে যান। তিনি উদ্ধার অভিযানে জড়িত সংস্থাগুলির সাথেও কথা বলেছেন। আটকে পড়া শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিক সংস্থা এবং পরিকল্পনা রয়েছে, অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স তাদের উদ্ধারের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হচ্ছে। 

জোর কদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে ওগার মেশিনে কারিগরি ত্রুটির কারণে বৃহস্পতিবার রাতে সুড়ঙ্গে আটকা পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য খনন কাজ আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা সিল্কিয়ারা টানেলের ৪৬ দশমিক ৮ মিটার পর্যন্ত খনন করেছেন।