গান্ধী পরিবারের সন্তান প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ( priyanka gandhi) দেখতে নাকি তাঁর ঠাকুমার মতো। বিশেষ করে নাক। ইন্দিরা আর প্রিয়াঙ্কার নাকের বিশেষ সাদৃশ্য আছে। সেই কারণে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রিয়াঙ্কার আশায় বসেছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। দায়িত্ব পাওয়ার পরে একের পোর এক ব্যর্থতা গ্রাস করল ইন্দিরার নাতনিকে।
রাজনীতির ময়দানে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। পরাজয়ের দায় নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। তারপরে কংগ্রেসের বড় অস্ত্র ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ২০১৯ সালে প্রিয়াঙ্কাকে দলের সাধারণ সম্পাদিকা করার পরে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেই সময় থেকেই উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্ত ভাই রাহুলের মতো তাঁকেও নিরাশ করল উত্তরপ্রদেশ।
উত্তরপ্রদেশে একসময়ে গান্ধী-নেহরুর রমরমা ছিল। কিন্তু গত চার দশকে সেই ছবি ম্লান হয়ে গিয়েছে। গত ৪০ বছরে যে রাজনৈতিক দলের জেতা আসনের সংখ্যা ৩৫-এর ঘরও পেরোয়নি। কংগ্রেসকে গত ৩০ বছর ধরে ছুঁয়েও দেখেনি উত্তরপ্রদেশের ৩১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের জনতা। সেখানে সরকার গঠনের দাবি করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা দখল যে অসম্ভব তা ওই রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব বিলক্ষণ জানতেন।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গাঁধীকে সামনে রেখেই লড়েছিল কংগ্রেস। পেয়েছিল সাতটি আসন। প্রিয়ঙ্কাও পরে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, জোট বাঁধা ভুল হয়েছে। সেই ভুলের পাঁচ বছর পর এ বার তাঁকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে একা লড়েছিল কংগ্রেস। গত ৩০ বছরে এই প্রথম উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী দিয়েছিল দল। কিন্তু তাতে ফলাফল আরও খারাপ হল। আগের থেকেও উত্তরপ্রদেশে কমতে চলেছে কংগ্রেসের আসন। অর্থাৎ দেশের সবথেকে বড় রাজ্যে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস।