রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ছড়ানো এক ডিপফেক ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নাকি দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ‘রাফাল’-এর প্রচারের জন্য ব্যবহার করছেন। বুধবার ভারতের তথ্যপ্রচার ব্যুরো (PIB) এই ভিডিওকে সম্পূর্ণ ভুয়ো ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-নির্মিত বলে ঘোষণা করেছে।
পিআইবি-র ফ্যাক্টচেক বিভাগ এক্স (X)-এ সতর্কবার্তা দিয়ে জানায়, ভিডিয়োটি আসলে পাকিস্তানি প্রোপাগান্ডা অ্যাকাউন্টগুলির তৈরি এবং এর উদ্দেশ্য জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো। পোস্টে লেখা হয়, “Deepfake Video Alert! পাকিস্তানি প্রোপাগান্ডা অ্যাকাউন্টগুলি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর একটি ডিজিটালি বদলানো ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে রাফাল প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। রাষ্ট্রপতি এমন কোনও মন্তব্য করেননি। ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং AI-নির্মিত।”
রাফাল বিমানে উড়ান তুলবেন রাষ্ট্রপতি
একই দিনে, বুধবারই হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে রাফাল যুদ্ধবিমানের উড়ান দেওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি হবেন প্রথম ব্যক্তি যিনি রাফালে উড়বেন। এর আগে ২০২৩ সালে তিনি অসমের তেজপুর বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে উড়েছিলেন, যা তাঁকে ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুদ্ধবিমানে উড়ানের অভিজ্ঞতা দেয়।
রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এপ্রিলের পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ এই যুদ্ধবিমানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
প্রেসিডেন্টদের উড়ানের ঐতিহ্য President Murmu Deepfake
ভারতের রাষ্ট্রপতিরা এর আগে বহুবার বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছেন। ২০০৬ সালে এ.পি.জে. আব্দুল কালাম এবং ২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিল যথাক্রমে পুণের লোহেগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে উড়েছিলেন। দ্রৌপদী মুর্মু সেই ঐতিহ্যের আধুনিক অধ্যায় খুলে দিলেন রাফাল যুগে।
ডিপফেকের হুমকি ও সরকারি সতর্কতা
রাষ্ট্রপতির উড়ানের আগে এই ভুয়ো ভিডিয়োর প্রচার প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহারে ছড়ানো এমন ভিডিও শুধু রাষ্ট্রীয় মর্যাদাকেই আঘাত করে না, বরং নাগরিকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়ায়। পিআইবি সাধারণ মানুষকে সতর্ক থেকে যাচাই করা তথ্য গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। হলে হয়েছে, “অজানা সূত্র থেকে প্রচারিত ভিডিও যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। সরকারি তথ্য ও ফ্যাক্টচেকের জন্য কেবলমাত্র @PIBFactCheck-এর উপরই ভরসা করুন।”


