Prashant Kishor: মোদী ফের ক্ষমতায় ফিরলেই ৪ বড় বদলের ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

ফের দেশে ক্ষমতার কুর্সিতে ফিরবেন নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই দেশজুড়ে চার বড় বদল ঘটতে পারে। ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ভোটকুশলী তথা ‘জন সুরাজ পার্টি’র নেতা প্রশান্ত কিশোর।…

prashant-kishors-initial-response-following-the-exit-polls-forecasting-a-significant-victory-for-the-nda

ফের দেশে ক্ষমতার কুর্সিতে ফিরবেন নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই দেশজুড়ে চার বড় বদল ঘটতে পারে। ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ভোটকুশলী তথা ‘জন সুরাজ পার্টি’র নেতা প্রশান্ত কিশোর। এই পরিবর্তনে রাজ্যগুলোর ক্ষমতা খর্ব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে, কিশোরের দাবি, মোদী সরকার দুর্নীতিবিরোধী নীতির কাঠামোগত এবং কার্যত পরিবর্তন জারি রাখবে।

তৃতীয়বার প্রত্যাবর্তনের পর শুরুতেই বড় ঝাঁকুনি হিসাবে মোদী সরকার পেট্রোপণ্যকে জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করবে। এমনই মনে করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তৃতীয় মোদী সরকার তাদের সুসানের নজির হিসাবে একটি ধাক্কা দিয়ে শুরু করবে। কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা এবং সংস্থানের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াবে। যা রাজ্যগুলির আর্থিক ক্ষমতাকে হ্রাসের একটি উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টাহতে পারে।’

   

Pm Modi: বাংলায় এসে প্রচারে যা এতদিন করেননি, চমক দিতে এবার সেটাই করবেন প্রধীনমন্ত্রী মোদী

ভোটকুশলীর মতে, রাজ্যগুলির বর্তমানে রাজস্বের তিনটি প্রধান উত্স হল- পেট্রোলিয়াম, মদ এবং জমি৷ প্রশান্ত কিশোরের কথায়, ‘পেট্রোলিয়ামকে জিএসটি-র আওতায় আনা হলে আমি অবাক হব না।’

বর্তমানে, পেট্রোলিয়াম পণ্য যেমন পেট্রোল, ডিজেল, এটিএফ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস জিএসটি-র আওতার বাইরে। তবে বর্তমানে এইসব পণ্যে ভ্যাট, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর এবং কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়ে থাকে।

দেবের ‘কীর্তি’ ফাঁস শুভেন্দুর, পাল্টা ‘ও শুভেন্দু দা’ ডাক দিয়েই বিস্ফোরক দেব!

পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলিকে জিএসটি-র আওতায় আনা হোক- শিল্প ক্ষেত্রের এই দাবি দীর্ঘদিনের। রাজ্যগুলি অবশ্য এই দাবির বিরুদ্ধাচরণ করেছে। কারণ, এর ফলে রাজ্যগুলোর রাজস্বের বিশাল ক্ষতি হবে। এছাড়া, পেট্রোলকে জিএসটি-র আওতায় আনার ফলে রাজ্যগুলিকে তাদের করের অংশ পেতে আরও কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে।

প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী যে, কেন্দ্র রাজ্যগুলিতে সম্পদের হস্তান্তর বিলম্বিত করতে পারে এবং ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (এফআরবিএম) নিয়মগুলিকে আরও কঠোর করতে পারে। ২০০৩ সালে প্রণীত ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট আইন, রাজ্যগুলির বার্ষিক বাজেট ঘাটতির উপর একটি সীমাবদ্ধ আরোপ করে। কিশোরের মতে, ‘মোদী সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলে কেন্দ্র সম্পদের হস্তান্তর বিলম্বিত করতে পারে এবং রাজ্যগুলির ঋণ আরও কঠোর করতে পারে।’

কিশোর আরও ভবিষ্যদ্বাণী যে, ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা মোকাবেলায় ভারতের দৃঢ়তা বাড়বে।