পাটনা: দুয়ারে নির্বাচন৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যেই একাধিক আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে প্রাশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিও৷ সকলের নজর ছিল প্রশান্তের দিকে৷ তবে আসন্ন বিহার ভোটে লড়বেন না ভোট কুশলী তথা দলের প্রতিষ্ঠাতা পিকে৷ তাঁর কথায়, দল তাইছে আমি যেন দলের সাংগঠনিক কাজেই মনোযোগ দিই।
লড়ছেন না পিকে
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর বলেন, “না, আমি নির্বাচনে লড়ব না। পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি যে কাজটা পার্টিতে করে আসছি, সেটাই চালিয়ে যাব। দলের বৃহত্তর স্বার্থে সাংগঠনিক কাজে মনোযোগ দেব।”
এর আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, হয়তো জন্মস্থান কারগাহার বা রঘোপুর থেকে প্রার্থী হতে পারেন। তবে মঙ্গলবার পার্টি রঘোপুর আসনে চঞ্চল সিং এবং কারগাহার থেকে জনপ্রিয় ভোজপুরি গায়ক রিতেশ পান্ডেকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, প্রশান্ত কিশোর নিজে লড়বেন না।
আমেঠি স্টাইলে হার Prashant Kishor Bihar Election
রঘোপুর, যা দীর্ঘকাল যাদব পরিবারের শক্তিকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে আরজেডির তেজস্বী যাদব দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। কিশোর এই এলাকায় যাওয়ার সময় তেজস্বীকে সতর্ক করেছিলেন যে তিনি ‘আমেঠি-র মতো পরাজয়’ ভোগ করতে হবে৷ যা ২০১৯ সালে নিজ গড়ে রাহুল গান্ধীর হারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল৷
প্রথমবার নির্বাচনে জন সুরজ পার্টি
উল্লেখ্য, জন সুরাজ পার্টি প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এখন পর্যন্ত ২৪৩ আসনের মধ্যে ১১৬টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বড় নামের মধ্যে রয়েছেন গণিতজ্ঞ কেকেএস সিনহা (কুমহরার, পাটনা), ডাঃ জাগৃতি ঠাকুর (মোরওয়া, সমস্থিপুর) এবং রিতেশ রঞ্জন পান্ডে (কারগাহার)। কিশোর বলেছেন, প্রার্থীদের বাছাই করা হয়েছে জনসেবার ভিত্তিতে৷ ভোট না দেওয়া হলে তা দলের নয়, জনগণের দায়িত্ব।
কটাক্ষ বিজেপি’র
এদিকে, প্রশান্ত কিশোরের এই সিদ্ধান্তে হাতে অস্ত্র পেয়েছে বিজেপি৷ এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে গেরুয়া নেতা প্রদীপ ভাণ্ডারি বলেন, “প্রশান্ত কিশোর জানে যে তাঁর পার্টির ভোটপ্রভাব বিহারে সীমিত। তাই নিজে প্রার্থী হতে চাইছেন না, এতে অন্তত জামানত জব্দ হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যাবে। বিহারের মানুষ স্পষ্টভাবে এনডিএর পাশে আছে।”
বিহারের ২৪৩ আসনের নির্বাচন হবে দুই ধাপে ৬ ও ১১ নভেম্বর, গণনা নির্ধারিত ১৪ নভেম্বর। বর্তমানে এনডিএর দখলে ১৩১টি আসন, যেখানে বিজেপি ৮০, জেডিইউ ৪৫, হিন্দুস্থান আওয়ামী মরচা ৪ এবং ২জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। মহাগাঠবন্ধনের দখলে ১১১টি আসন, যেখানে আরজেডি ৭৭, কংগ্রেস ১৯, সিপিআই(এমএল) ১১, সিপিআই(এম) ২ এবং সিপিআই ২টি আসন নিয়েছে।