নয়াদিল্লি: ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। শুক্রবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের ১৫তম উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন চন্দ্রপুরম পন্নুসামি রাধাকৃষ্ণন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
কে কে উপস্থিত ছিলেন?
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়কড়ি সহ মন্ত্রিসভা ও সংসদের বহু গণ্যমান্য সদস্য। দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে রইল শুক্রবারের এই অনুষ্ঠান।
৬৭ বছর বয়সি রাধাকৃষ্ণন দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা, তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এক পরিচিত নাম এবং আদর্শগতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ঘনিষ্ঠ কর্মী। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তিনি ৪৫২ ভোট পেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে জয়ী হন। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী ও প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি বি. সুধর্শন রেড্ডি পান ৩০০ ভোট।
সংখ্যার অঙ্ক Ponnusamy Radhakrishnan sworn in
সংখ্যার অঙ্কেই যে এই জয় নিশ্চিত ছিল, তা বলাই বাহুল্য। এনডিএ-র হাতে থাকা ৪২৭ ভোটের পাশাপাশি ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও কয়েকটি ছোট দলের সমর্থন রাধাকৃষ্ণনকে সহজেই জয়ের সীমারেখা পেরোতে সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কিছু ক্রস ভোটও পড়েছে তাঁর পক্ষে।
গত ২১ জুলাই আকস্মিকভাবে উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে স্বাস্থ্যজনিত কারণে জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ নতুন নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে। জয়ের পর বৃহস্পতিবার রাধাকৃষ্ণন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের পদ ছেড়ে দেন। আপাতত গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতকে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত দায়িত্ব।
কোয়েম্বাটুর থেকে দু’বার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া রাধাকৃষ্ণন বিজেপির তামিলনাড়ু প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। জনসঙ্ঘের দিনগুলো থেকে শুরু করে বিজেপির বর্তমান উত্থান— সেই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার সাক্ষী তিনি। শুক্রবারের শপথগ্রহণ তাঁর সেই সংগ্রামী পথচলাকে এনে দিল এক ঐতিহাসিক পরিণতি।