হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে এসএসকেএম-এ তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, উঠল নিরাপত্তার প্রশ্ন

আরজি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে…

Violence erupted at SSKM with hockey sticks and wickets, raising security concerns.

আরজি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার। এর মধ্যে ফের এক সরকারি হাসপাতালে উঠল নিরাপত্তার প্রশ্ন।

রবিবার সকালে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ঢুকে তান্ডব চালান। সেখানে ট্রমা কেয়ারের সামনে হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেখানে ট্রমা কেয়ারের এক রোগীর আত্মীয়কে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

   

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, রবিবার সকাল সকাল প্রায় ৮টার দিকে এসএসকেএম চত্বরে বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন কয়েক জন দুষ্কৃতী। প্রায় ১০-১৫ জনের একটি দল বাইক নিয়ে হাসপাতালে ঢোকে। সেই যুবকদের সকলেরই হাতে ছিল হকি স্টিক এবং উইকেট।

সেইসব নিয়ে ট্রমা কেয়ারের দিকে যেতেই তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়কে বেধড়ক মারধর করে তান্ডব চালান। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দুই পক্ষের গন্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়া থেকে আসা এক রোগী ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেই রোগীর ছেলে সৌরভ মোদক ট্রমা সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

তাঁকেই বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে তান্ডব চালানোর পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। এখনও সেই দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে রোগী, রোগীর পরিজন থেকে শুরু করে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই ঘটনার পর একাধিক জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ তুলে জানিয়েছে, সেসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল।

কিন্তু তারা গন্ডগোল দেখেও না দেখার ভান করেছে। এক জুনিয়র ডাক্তার এই বিষয়ে বলেছেন, “এই তো ৯০ শতাংশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাওয়ার নমুনা! কলকাতার বুকে বড় সরকারি হাসপাতালে সকাল সকাল দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়ে আবার বেরিয়েও গেল। কেউ কিছু করতে পারল না।”

এদিকে সরকারের তরফে কয়েকদিন আগেই জানানো হয়েছিল, সরকারি হাসপাতালগুলি নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। তার মধ্যে রাজ্যের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতালে ফের এমন ঘটনায় রোগী এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।