“হার কর জিতনে ওয়ালো কো…” ফের হোয়াইট হাউজের দখল নিল মোদীর ‘কাছের বন্ধু’ ট্রাম্প

একেই হয়তো বলে “হার কর জিতনে ওয়ালো কো বাজিকর ক্যাহেতে হ্যায়…।” কারণ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর সবাই ভেবেছিল শেষ হয়েছে ডনের সাম্রাজ্য। কিন্তু ওটা…

Modi trump return

একেই হয়তো বলে “হার কর জিতনে ওয়ালো কো বাজিকর ক্যাহেতে হ্যায়…।” কারণ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর সবাই ভেবেছিল শেষ হয়েছে ডনের সাম্রাজ্য। কিন্তু ওটা যে নিছক ভ্রান্ত কল্পনা তা আরও একবার প্রমাণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump victory)। হোয়াইট হাউজ (White House)দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে (Kamala Harris) বিপুল ভোটে হারিয়ে ফের মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। বুধবার সকালে এই খবর টিভির পর্দায় ভেসে উঠতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। কারণ ডনের আগমনে বিশ্বের অনেক কিছু বিশেষত চিন-মার্কিন সম্পর্ক, ইরান ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা। 

“আমেরিকাবাসীকে ধন্যবাদ, আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি, বিজয় বার্তা ডনের

   

তবে ডনের প্রত্যাবর্তনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে নয়াদিল্লি। কারণ ট্রাম্পের বিগত প্রেসিডেন্সিতে (২০১৬-২০২০) ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিশেষ উচ্চতা লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গেও বিশেষ সখ্যতা গড়ে উঠেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump victory)। সেই বন্ধুত্বের সূত্রেই আমেরিকার হাউস্টনে হাউডি মোদী ও আমেদাবাদে ভরা সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাতে হাত তুলে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন দুজনেই। একাধিকবার নরেন্দ্র মোদীকে ‘কাছের বন্ধু’ বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন ট্রাম্প।   

নিফটি-সেনসেক্স এক শতাংশ বাড়লো, মার্কিন নির্বাচনের অনিশ্চয়তা বজায়

সেই দুই নেতার ‘জাদু কি ঝাঁপ্পি’র কথা সবারই মনে আছে। অবশেষে সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে সাউথ ব্লক। কারণ মোদীর মতো ট্রাম্পও ইসলাম বিরোধী, চিন বিরোধী ও বিশেষত অনুপ্রবেশ বিরোধী মানসিকতার নেতা। তাই এই সমস্ত ইস্যুতে দুজনের মানসিকতা সমভাবাপন্ন হওয়ায় আগামীতে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন অধ্যায় রচনা করবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে বন্ধু ট্রাম্পের জয়ে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ট্যুইটে বলেন, “অনেক শুভেচ্ছা, আশা করি আবারও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।”

মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক জয়, কঙ্গনা রানাউতের অভিনন্দন

এদিন বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্প আমেরিকার জনগণের জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন। “আমাদের কাজ হল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করা, প্রতিটি পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান করা, এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় সংস্কার আনা। আমেরিকা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, আমেরিকাকে আরো শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তিতে দাঁড় করানো এবং প্রত্যেক নাগরিককে সমান সুযোগ প্রদান করা।”

ট্রাম্প তাঁর শেষ বক্তব্যে জানান, “এই জয় শুধু আমার নয়, এটি প্রতিটি আমেরিকানের। আমরা একসঙ্গে কাজ করব এবং আমেরিকাকে আবার সেই উচ্চতায় নিয়ে যাব।”