HomeBharatPoliticsদিনভর বাংলার ব্যালটের গতি এপাং ওপাং ঝপাং!

দিনভর বাংলার ব্যালটের গতি এপাং ওপাং ঝপাং!

বিশ্লেষকরা বলছেল গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের একচ্ছত্র দাপট ছিল, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে জনতার ক্ষোভ দেখল শাসকদল

- Advertisement -

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে ছড়া লিখেছেন তা বহুল চর্চিত। শনিবার গ্রাম বাংলার রক্তাক্ত (Panchayat Election) ভোটে যেমন পাল্লা দিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে, তেমনই ঘটেছে ব্যালট বাক্স ছিনতাই। রাজনৈতিক মহলের কটাক্ষ, দুটি ঘটনার মাঝে একটা আরও একটা দৃশ্য এসেছে-এপাং ওপাং ঝপাং!

উত্তর হোক বা দক্ষিণ বিভিন্ন জেলায় ছাপ্পার জন্য ব্যালট ছিনতাই করে পুকুরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ব্যালট বাক্স উদ্ধারে পানা পুকুরে লোক নামিয়ে বাক্স উদ্ধার করে এনেছে। কোথাও খোদ ভোটাররা ছাপ্পা রুখতে ব্যালট ছিনিয়ে এনে পুকুরে, নর্দমায় ফেলে দেন। ক্ষোভে আক্রোষে গণতন্ত্রের বাক্সে লাথি মেরে তুবড়ে ভেঙে ব্যালট পেপার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও দেখা গেছে ব্যালট ছিনিয়ে তাতে জল ঢেলে দিয়ে অকেজো করে রাখতে।

   

ছাপ্পা ভোট রুখতে এই চেষ্টা বলেছেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে ভোটের বেলা যত বেড়েছে ততই বেড়েছে ব্যালট বাক্সের ‘এপাং ওপাং ঝপাং’ গতি। বিরোধীদের কটাক্ষ, এমনটা হওয়ারই ছিল। মমতার ছড়ার বাস্তব রূপ দেখা গেল।

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে গত চার দশকে এমন ব্যালট লুঠ, গণহারে পুকুরে নর্দমায় ফেলার দৃশ্য দেখা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেল গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের একচ্ছত্র দাপট ছিল, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে জনতার ক্ষোভ দেখল শাসকদল।

পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তেমনই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দিনভর রক্তাক্ত ভোটে তীব্র সমালোচিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, ‘অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” তিনি বলেন, ‘গন্ডগোল, অশান্তির খবর এসেছে। মানুষ নিজের মতামতের নিরিখে অভিযোগ জানান। সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। সবকিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলা সম্ভব নয়। আবার শুধু অশান্তিই হয়েছে, এমনই বলা যায় না।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular