ডেরেক-সাগরিকাকে নিশানা করে বিস্ফোরক তথাগত

tathagata-roy-attacks-derek-sagarika-sir-issue-bengal-politics

কলকাতা: বাংলায় SIR আবহে উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান। বিজেপি, তৃণমূল দ্বন্দ্বও যেন হয়ে গিয়েছে বঙ্গবাসীর রোজনামচা। তার মধ্যেই কখনও বিজেপি তৃণমূলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসছে। তবে বঙ্গে SIR নয় এই দাবিতেই মুখর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই প্রত্যেকবারের মত নিজস্ব ভঙ্গিতে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়।

Advertisements

তিনি তার ফেসবুক পেজে বলেছেন ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি সরাসরি আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের দুই মুখ্য মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষকে। তথাগত লিখেছেন, “মনে পড়ে, যখন নোটবন্দী হয়েছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাহুলবাবা পর্যন্ত সবাই হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন। তাতে কী হয়েছিল? যথারীতি নতুন নোট চালু হয়ে গিয়েছিল! এবারও ডেরেক আর সাগরিকার হাউ হাউ চিৎকারে কিছু হবে না। SIR হবেই— আর তাতে বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারীরা বাদ যাবেই।”

   

বিস্ফোরণের পর প্রতিবেশী দেশের রাজধানীতে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বাড়ল সরকার!

তথাগত রায়ের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিজেপি আসলে বিভাজনের রাজনীতি করছে। রাজ্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে নষ্ট করার জন্যই SIR প্রকল্পের আড়ালে গোপন পরিকল্পনা চলছে। বিজেপির তরফে দাবি, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য নাগরিক তথ্য স্পষ্ট করা ও বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করা।

Advertisements

তথাগত রায় আরও লেখেন, “চৌদ্দ দিনে সতেরো জন মারা গেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ সবাই মারা যাচ্ছেন SIR আতঙ্কে তার মধ্যে এক ৯৫ বছরের বৃদ্ধও আছেন!” তথাগত তার বক্তব্যে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি এবং তার পিছনে SIR এর অজুহাত দেওয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর এই বক্তব্যে নতুন করে সামনে এসেছে SIR নিয়ে রাজনীতি এবং তঞ্চকতার নির্মম চিত্র। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন না, SIR আসলে নাগরিক সুরক্ষার প্রকল্প নাকি নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র।

রাজনৈতিক মহলের মতে, তথাগত রায় বরাবরই স্পষ্টভাষী নেতা। দলের ভেতরেও তাঁর বক্তব্য অনেক সময় অস্বস্তি তৈরি করে। কিন্তু SIR নিয়ে রাজনীতির খেলা এবং মৃত্যুর রাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি যা বলেছেন তা যথার্থ। SIR প্রকল্প ঘিরে কেন্দ্র–রাজ্যের টানাপোড়েন নতুন নয়।

কিন্তু তথাগত রায়ের মতো একজন বর্ষীয়ান নেতার মুখে এই মন্তব্যে বিজেপি হয়তো চাইছে জনমানসে বিষয়টি আরও আলোচিত হোক। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর মাধ্যমে বিজেপি ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাতীয়তাবাদী ভোটব্যাঙ্কে আরও দৃঢ় অবস্থান নিতে চাইছে।