SUCI: ব্রিগেডে তৃণমূল ‘সাহায্য’ করেছিল, ‘মমতা অনুরাগী’ ছোট বাম দল লড়ছে সব আসনে

বড় বাম অর্থাত CPIM পারেনি, তবে ছোট বাম SUCI (C) পেরেছে! তারা লড়াই করছে রাজ্যের সবকটি লোকসভা আসনেই। ভোটের দিন ঘোষণার পরেই ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী…

SUCI

বড় বাম অর্থাত CPIM পারেনি, তবে ছোট বাম SUCI (C) পেরেছে! তারা লড়াই করছে রাজ্যের সবকটি লোকসভা আসনেই। ভোটের দিন ঘোষণার পরেই ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী নিশ্চিত করেছে ‘অত্যন্ত সুগঠিত সাংগঠনিক কাঠামো’ নিয়ে চলা সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) দলটি। অর্ধ শতক পুরনো এই দলটির নেতৃত্বকে তেমন প্রচারেও দেখা যাচ্ছে না।

রাজ্যে যখন ১৯৬০ এর দশকে অ-কংগ্রেসি যুক্তফ্রন্ট সরকার চলছিল, সেই মন্ত্রিসভায় ছিল দলটি। পরে ফ্রন্ট ত্যাগ ও দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের বাম জমামায় সিপিআইএমের বিরুদ্ধাচারী এক ছোট বাম দল বলে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল SUCI দল।

দীর্ঘ বাম জমানায় ‘কুলতলি-জয়নগরের পার্টি’ বলে চর্চিত SUCI বিধানসভায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই দুটি আসনে জয়ী হত। ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে জয়নগর লোকসভা আসনে জয়ী হয় SUCI দল। বাম জমানায়  কলকাতার কয়েকটি জনবহুল মোড়ে যখন তখন পথ ঘেরাও আন্দোলনের জন্য চর্চিত-নিন্দিত ছিল SUCI দলটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের শুরুটা SUCI করলেও তাদের সরিয়ে তৃণমূল সব রাশ নিয়েছিল।  আর বাম জমানার পর SUCI দলের বিপ্লবী ঝাঁঝ উধাও!

দলটির সর্বশেষ ব্রিগেড ময়দান সমাবেশে ভিড় ছিল। সেই সমাবেশে একতরফা সিপিআইএমকেই নিশানা করেছিল SUCI তবে তেমন আক্রমণ শানায়নি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমাবেশ শেষে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তৃণমূলের তরফে এসইউসিকে ‘সাহায্য’ করার বিষয়টি। বিতর্কে জড়িয়ে SUCI রাজ্য কমিটি সাফাই দেন। তবে বিস্তর সমালোচিত হয় ছোট বাম দলটি।

লোকসভা ভোটে রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী দিলেও কোনও আসনেই SUCI দলটির জামানত ধরে রাখার মতো ভোট নেই বলেই বিশ্লেষণে উঠে আসছে। ‘ভোট কাটুয়া’ বলে চিহ্নিত দলটির নেতারা বলছেন, সাংগঠনিক কাঠামো বাড়িয়ে তোলাই লক্ষ্য। তাদের নিশানা করে সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকদের কটাক্ষ মমতার অনুপ্রেরণায় চলে ওরা!