রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসতে পারবেন শুভেন্দু ,জট কাটল?

অবশেষে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সকাল ১০ টা থেকে চার ঘন্টা ওই চত্বরে ধর্ণায় বসতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে…

অবশেষে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সকাল ১০ টা থেকে চার ঘন্টা ওই চত্বরে ধর্ণায় বসতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে আগামী ৭ জুলাই অনুমতি দেওয়া হতে পারে আদালতের তরফে। তারপর রবিবারই সেখানে চার ঘন্টার জন্য সমাবেশে বসবেন তিনি। প্রথমে রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের জন্য শনিবার ধর্ণায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন শুভেন্দুর আইজীবী। কিন্তু শনিবারের পরিবর্তে রবিবার দিনটিকে স্থির করা হল। তবে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আদালতকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আগামী শুনানির দিন মঙ্গলবার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। 

গত কয়েক বছরে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাজভবন। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই তাঁদের রাজনৈতি কর্মসূচি-ধর্ণা রাজভবন চত্বরেই পালন করে আসছে। গত বছর ৫ থেকে ১০ অক্টোবর কেন্দ্রের থেকে একশ দিনের টাকা আদায়ের দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শাসক দলের কর্মসূচির সময় পুলিশের ‘অতি সক্রিয়’তা কেন দেখা যায় না? কিন্তু বিরোধীদের সময় পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে কেন কর্মসূচিতে বাধা দেয়?”

   

রাজ্যের বিরোধী দলের ক্ষেত্রে বার বার ‘অতি সক্রিয়’ হয়ে ওঠা নিয়ে আগেও অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়াদের নিয়ে শুভেন্দুর রাজভবন যাওয়া নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। পুলিশি হেনস্থা প্রথমে রাজভবনে ঢুকতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন , গত বছর কেন্দ্রের কাছে টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। তখন কেন পুলিশ ‘অতি সক্রিয়’তা দেখায়নি? সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিচারপতি সিনহা।