বিহারে গেরুয়া ঝড়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার তৃণমূল সাংসদ

shatrughan-sinha-reacts-to-bihar-nda-victory

কলকাতা: বিহারের গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বিরোধী মহাজোট। বিরোধী শিবিরে তেজস্বী জিতলেও রাহুলের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। বিহারে NDA এর এই জয়ে উচ্ছসিত বাংলার সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। জন্ম সূত্রে বিহারের বাসিন্দা শত্রুঘ্ন সিনহা নীতিশ-মোদীর এই ব্যাপক জয়ে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং বিহারের জনগণকে তাদের সরকার নির্বাচন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি বলেছেন বিহার এই সরকারই দাবি করে।

Advertisements

তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন ” “অভিনন্দন! আমাদের বিহারের মানুষকে, তারা যে সরকারকে প্রাপ্য মনে করেছেন, যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই সরকার পাওয়ার জন্য। আর সেই সঙ্গে দেশের অন্যতম শ্রদ্ধেয়, ভদ্র ও সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন।” বিহারের দীর্ঘতম মেয়াদের, বিশ্বস্ত, পরীক্ষিত ও সফল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি আবারও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। তাঁর চারপাশে থাকা সকল মানুষ ও দলকেও অভিনন্দন। ঈশ্বর সকলকে আশীর্বাদ করুন।

   

শিক্ষামন্ত্রীর বার্তায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন আশা চাকরিপ্রার্থীদের

অভিনন্দন সবাইকে। জয় বিহার! জয় হিন্দ!” যদিও শত্রুঘ্নের এই অভিনন্দন বার্তায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিস্তর গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে যেখানে দলের নেত্রী সবসময় বিজেপিকে ভোট চোর বলে আখ্যায়িত করেছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে সাংসদের এই পোস্ট যথেষ্ট সন্দেহজনক। আবার অনেকেই তার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছেন, এখন তৃণমূলের সাংসদ হলেও আগে তিনি অটল বিহারি বাজপেয়ীর জমানার মন্ত্রী ছিলেন, তাই এখনও পুরোনো দিনের কথা মনে করে তিনি নস্ট্যালজিক।

কেউ কেউ আবার মন্তব্য করেছেন বাংলার বিধায়ক হলেও মনে রাখতে হবে তিনি অবাঙালি এবং জন্ম সূত্রে বিহারের মানুষ। আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশ তাকে কটাক্ষ করে বলেছে এই শত্রুঘ্ন সিনহাই সারা দেশে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করতে বলেছিলেন।

Advertisements

এর থেকেই প্রমান হয় তার রং ঘাসফুলের সবুজ নয় আদতে তিনি গেরুয়া ভাবধারার মানুষ। সাংসদের এই অভিনন্দন বার্তাতে আপাতত মুখ খোলেননি তৃণমূলের কোনো নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের অন্দরেই অবাঙালি সাংসদদের নিয়ে আগেও চাপানউতোর শোনা গেছে।

বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহের প্রতিবাদে তৃণমূলের তথাকথিত ভাষা আন্দোলনে অবাঙালি সাংসদদের কখনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে শত্রুঘ্ন এবং ইউসুফ পাঠানের মত সাংসদদের কখনোই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহ নিয়ে কোথাও বিবৃতি দিতে শোনা যায়নি।

ঠিক এই কারণেই রাজনৈতিক মহল সন্দেহ প্রকাশ করেছে বার বার। সন্দেহ প্রকাশ করেছে এই কারণে যে যারা বাঙালি বা বাংলার মানুষের পাশে নেই বা কখনও তাদের দেখা যায়নি, তবে কি তাদের সবুজ রঙের মুখোশের আড়ালে লুকোনো রয়েছে গেরুয়া রং । তার উপর শত্রুঘ্নের গেরুয়া শিবিরকে অভিনন্দন জানিয়ে এই পোস্ট সন্দেহের আগুনে আরও বেশি ঘৃতাহুতি দিয়েছে।