কয়েক মাস আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের মাদক পাচার চক্র ধ্বংসের শপথ নিয়েছিলেন। সেই শপথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে এবার দিল্লি থেকে ২৬২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক মেথঅ্যামফেটামিন’ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজেই অমিত শাহ X হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “৩২৮ কেজি নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে। মাদকমুক্ত ভারতের পথে এটা একটি বড় সাফল্য।” এই ঘোষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলে দেশের বিভিন্ন শহর থেকে বড় ধরনের মাদক চক্রকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে।
পুলিশের অনুসারে, এই উদ্ধার অভিযানটি মূলত একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয়েছিল। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির পরই এই বৃহৎ মেথঅ্যামফেটামিন চালান জব্দ করা সম্ভব হয়। উদ্ধারকৃত মাদক প্রায় সম্পূর্ণরূপে দেশীয় বাজারে পৌঁছানোর আগেই আটক করা হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে যে বার্তাটি দেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট: মাদক চক্রকে দেশের কোন প্রান্তেও আর নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হবে না।** স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বলেছেন যে, মাদকমুক্ত ভারত গড়াই সরকার ও দেশের নাগরিকদের একমাত্র লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর থাকবে।
অধিকাংশ মাদকদ্রব্য দেশের যুব সমাজকে লক্ষ্য করে বাজারজাত করা হয়। মেথঅ্যামফেটামিনের মতো নিষিদ্ধ পদার্থ তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে পারে। এই ধরনের মাদক উদ্ধার অভিযান শুধু আইনগত সাফল্য নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যতের রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই উদ্ধার অভিযানের ফলে দেশের মাদকদ্রব্যের বাজারে সরবরাহ কমবে, যা যুব সমাজের ওপর মাদকপাচারের প্রভাবকে কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, এই ধরনের পদক্ষেপ মাদক চক্রকে ভয় দেখাবে এবং তাদের অপকর্মে বাধা দেবে।
অমিত শাহের নির্দেশে পুলিশ এবং নেশা দমন বিভাগের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন অংশে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছেন। এই অভিযানগুলোতে গোপন গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি, এবং স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ধরনের সমন্বিত প্রচেষ্টা মাদক পাচারের চক্র ভাঙার ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। এই ঘটনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত, কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের স্পষ্ট প্রমাণ। দ্বিতীয়ত, এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা এবং তৎপরতার পরিচয় দেয়। এবং তৃতীয়ত, এটি সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করে যে, মাদক পাচার এবং ব্যবহার যে কোনো অবস্থাতেই সরকার সহ্য করবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার মাদকমুক্ত ভারত গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ এবং নেশা দমন সংস্থাগুলি দেশের প্রতিটি প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে। এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং সমাজে সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
