আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সন্দীপ ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা আশিষ পাণ্ডে

আরজি করের (RG Kar case) আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা আশিষ পাণ্ডেকে (Asish Pandey) গ্রেফতার করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।…

RG kar case tmc leader ashis pandey arrested by CBI on thursday

আরজি করের (RG Kar case) আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা আশিষ পাণ্ডেকে (Asish Pandey) গ্রেফতার করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে থ্রেট কালচার ও আর্থিক দুর্নীতি ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।  ফলে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। 

RG kar case: সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা, জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

   

সন্দীপ ঘনিষ্ট এই তৃণমূল নেতা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের হাউস স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সময়ই সন্দীপ ঘোষের প্রশ্রয় বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ ও টেন্ডারে অনিয়ম করেছেন বলে ধৃত আশিষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এর আগেও সিবিআই জেরায় হাজিরা দিয়েছিলেন আশিষ। একাধিকবার জেরার পর এদিন অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

আরজি করের ঘটনা খুবই দুঃখজনক, দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে সরব বাইচুং

ত ৯ অগস্ট নির্যাতিতার খুনের রাতে সল্টলেকের একটি হোটেলে উঠেছিলেন আশিষ পাণ্ডে। এর আগে সিবিআই তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল পড়ুয়ারা। এমন অভিযোগও উঠে এসেছে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে।

গত অগস্টের শুরুতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে দেহ মেলে নির্যাতিতার। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। ওই ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি অভিজিত মণ্ডল সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয় একাধিক তারকা-অভিনেতারা। পাশাপাশি আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলাও অভিযোগ তোলা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। 

মার্কিনি হয়েও কংগ্রেসের ডিসেম্বর সম্মেলনে কেন উপস্থিত থাকবেন বারাক ওবামা?

দীর্ঘ এক মাসের ওপর চলছে আরজি কর মামলার শুনানি। গত শুনানি গুলিতে ময়নাতদন্ত ও রাজ্যপ্রশাসনের ভূমিকায় রীতিমতো ভর্ত্সনা করেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। গত সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের সিপি থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব ও অন্যান্য আমলাদের অপসারনের দাবিতে ধর্ণা-জমায়েতে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দেন তাঁরা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সেই অচলাবস্থা কাটে।