তৃণমূল নেতাদের বলছি কাজ ফুরোলে পাজি নীতির দিদি দেখে শিক্ষা নাও: অধীর

লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সংগঠনে পরিবর্তন করা হয়েছে।  বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।…

Adhir Ranjan Chowdhury

লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সংগঠনে পরিবর্তন করা হয়েছে।  বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে সরানো হলো। তিনি গরু পাচার তদন্তে তিহার জেলে বন্দি। এরপরেই অনুব্রত অর্থাত কেষ্টকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের হার্মাদদের, নেতাদের একটাই কথা বলব, কেষ্টকে দেখে শিক্ষা নাও।

অধীর বলেন, এটাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই কেষ্টা এই দিদির জন্য প্রাণপাত করেছে, সেটা অস্বীকারের উপায় নেই। আজ কেষ্টাকে কেষ্টা বানিয়েছে দিদি। আজ যখন কেষ্টার ঢোল ফেটে গেল, দিদি তখন বলছে আমি আর নাই। আমি আর কেষ্টকে চিনি না।

   

অধীর আরও বলেন, কতই না কেষ্টর নামে প্রশংসা শুনেছি। বীরভূমের কেষ্টা যেদিন থেকে জেলে সেদিন থেকে দিদির মুখে কেষ্টর নাম নেই। আমি এখানে বলছি দিদির দলের হার্মাদরা শিক্ষা নিন। এটা হচ্ছে বাংলার আমাদের দিদিভাই। সে যখন দেখে সিবিআই তখন বলে এবার আমি কেটে যাই। কেষ্টাকে কেষ্ট হওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরোলে পাজি এই মন্তব্যে দীক্ষিত হয়েছে আমাদের দিদিভাই।

তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি পদ শূন্য রেখেছেন মমতা। তবে জেলা তৃণমূল চেয়ারপার্সন পদ আছে। এই পদে আছেন  আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।  জেলা সভাপতির পাশে লেখা রয়েছে ‘কোর কমিটি টু কমিটি’। এখন কোর কমিটি তার মানে সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আছেন কেষ্ট বিরোধী নেতা কাজল শেখ।

তৃণমূল কংগ্রেসের ২০২২ সালের অগস্ট মাসে যে জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে জেলা সভাপতির পাশে লেখা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম। এখন অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে জেলা সংগঠনের দায়িত্ব সামলাচ্ছিল কোর কমিটি। সেটাকেই এবার সামনে আনা হল।