‘…ও অনেক এগিয়ে’, শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুণাল

শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংশায় পঞ্চমুখ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণালের মন্তব্য, বিজেপির নেতা হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের…

শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংশায় পঞ্চমুখ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণালের মন্তব্য, বিজেপির নেতা হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রশ্নে এসব সুকান্তবাবুদের থেকে তো ঢের এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। যদিও কুণাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দু হার নিশ্চিত। বিজেপি নেতা-কর্মীরাও শুভেন্দুর বিরোধিতা করছেন।

কুণাল বলেন, এই সুকান্তবাবু বা এরা যারা আছেন, বিজেপি নেতা হিসেবে, বিরোধী নেতা হিসেবে, বিজেপির নেতা হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রশ্নে এসব সুকান্তবাবুদের থেকে তো ঢের এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং এরা সবাই মিলেও কী শুভেন্দুকে ওখানে পাল্লা দিতে যাবে। শুভেন্দু অধিকারী ভুল রাজনীতি করছে, ভুল কথা বলছে, তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কিন্তু বিজেপিতে যারা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র শুভেন্দুকেই নজর রাখা যায়। শুভেন্দুকে চারটি খারাপ কথা বললে, চারটি খারাপ কথার জবাব দেওয়া যায়। বাকিদের তো নম্বরও দিই না।

   

প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, একজন বলছেন, অন্য নেতা তাঁর উল্টো বলছেন। সুকান্তবাবু যে ঠিক বলছেন, তিনি দলের কথা বলছেন, তাঁর প্রমাণ কী? একজন একটা কথা বলছেন সেটা যদি পার্টি লাইনগত ভাবে বিরোধী হয়, তাহলে সুকান্তবাবু এমন প্রমাণ দিন, যে যিনি এটা বলেছেন, পার্টি লাইনের বিরোধিতা করেছেন, পার্টি লাইনের উল্টো বলেছে, তাঁরা সেটা অনুমোদন করছেন না এবং কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার তো কোনও নমুনা সুকান্ত মজুমদারের গলায় দেখতে পাচ্ছি না। অর্জুন সিংকে যদি সুকান্ত মজুমদার সতর্ক করে থাকেন, তাহলে আমার মনে হয়, আগামী দু-তিন মাস ব্যারাকপুর এলাকা দিয়ে আর সুকান্ত মজুমদার যাতায়াত করবেন না। সুতরাং এটা ওনার রুট চেঞ্জের ব্যাপার। ওপাস দিয়ে ঘুরে, ওদিকে আর প্রোগ্রাম নেবে না।

ঘুম উড়ল বিজেপির! উত্তর প্রদেশ উপনির্বাচনে অখিলেশের হাত ধরল রাহুলের কংগ্রেস

শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, উনি তৃণমূলে ছিলেন। উনি বিজেপিতে গিয়েছেন। এখন বিজেপির একটা তথাকথিত যে লাইন, যার মধ্যে যাবতীয় ভাঁওতাবাজি আছে, তার উল্টো কিছু বলেছেন। এবার এটাও হতে পারে, বিজেপির যে লাইনটা, সেটা তো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার লাইন। শুভেন্দু অধিকারী উগ্র একটা ধর্মের কথা বলেছেন। আর বিজেপি বলছে না, আমরা সকলকে নিয়ে চলি। এটা তো বিজেপির শাক দিয়ে মাছ ঢাকা। আর শুভেন্দু অধিকারী শাকটা সরিয়ে মাছটা প্লেটের ওপর বসিয়ে দিয়েছেন।

কুণালের কথায়, বিজেপি উগ্র-সাম্প্রদায়িক রাজনীতিই করে। আর সেই কথাটাই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন। সুকান্ত মজুমদাররা তার ওপর যে কোটিংটা দিতে চান, সেই কোটিংটা থেকে বেরিয়ে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির যে অরিজিনাল লাইন, অর্থাৎ উন্নয়নের কোনও বালাই নেই, শুধু ধর্ম নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মেরুকরণ করা, সেটাই শুভেন্দুবাবুর মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে এটা সম্পূর্ণ ওদের অভ্যন্তরীণ লাইনগত বিষয়। বিজেপির মুখোশটা শুভেন্দু অধিকারী খুলে দিয়েছেন।

‘রাজনীতিতে সকলের সাহস থাকে না’, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বিরোধী শুভেন্দুকে সমর্থন তথাগত’র

তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের কথায়, বিজেপি সংগঠন থাকলে তো দুর্বল হবে। যার সংগঠনই নেই, তার আবার দুর্বল কী। শুভেন্দু অধিকারী আমাদের বিরোধী। শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকতা করে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁর নিজস্ব অ্যাজেন্ডায় বিজেপিতে গিয়েছেন। বিজেপিতে গিয়ে তিনি ব্যক্তি আক্রমণ এবং কুৎসার রাজনীতি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে এবং চলবে। তাঁকে মানুষ ক্রমশ, বিজেপি নেতা-কর্মীরাও শুভেন্দুর বিরোধিতা করছেন।