ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এম এস রামচন্দ্র রাও

নয়া প্রধান বিচারপতি পেল ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট। বিচারপতি এমএস রামচন্দ্র রাও (Ramchandra Rao) বুধবার ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন। রাজ্যপাল সন্তোষ কুমার গঙ্গওয়ার রাজভবনের…

jdjjdjdnnd ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এম এস রামচন্দ্র রাও

নয়া প্রধান বিচারপতি পেল ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট। বিচারপতি এমএস রামচন্দ্র রাও (Ramchandra Rao) বুধবার ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন। রাজ্যপাল সন্তোষ কুমার গঙ্গওয়ার রাজভবনের বিচারপতি রাওকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন তার মন্ত্রিসভার আধিকারিক সহ বিচারপতি ও ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকরা। গত ২১ সেপ্টেম্বর সাতটি হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন রাও। এবার ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব দেওয়া হল তাকে। বিচারপতিরাওকে রাজ্যের হাইকোর্টে প্রধান করার জন্য ও সুপ্রিম কোর্টে যায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ঝাড়খন্ড সরকার। এর কদিন পরেই বিচারপতি এমএস রামচন্দ্র রাও- এর স্থানান্তর হয়। সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম এই মাসের শুরুতে ১১ জুলাইয়ের কিছু সুপারিশ সংশোধন করে নয়া নিয়োগ ঘোষণা করে।

   

প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ বিচারপতি সঞ্জয় কুমার মিশ্রের পদত্যাগের পরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ছিল। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক ৩ জুলাই বিচারপতি সারঙ্গীকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।বিচারপতি বিদ্যুৎ রঞ্জন সারঙ্গী ৫ জুলাই ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের ১৫ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন৷ রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান রাঁচির রাজভবনে বিচারপতি সারঙ্গীকে শপথবাক্য পাঠ করান৷ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অবমাননার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কয়েকদিন পর , কেন্দ্র গত শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর  হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এমএস রামচন্দ্র রাওকে ঝাড়খণ্ডের উচ্চ আদালতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। 

বিচারপতি রাও ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ভবনস নিউ সায়েন্স কলেজ থেকে গণিতের সম্মান সহ একজন বিজ্ঞান স্নাতক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হন এবং তারপরে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৯ সালে LL.B-তে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনের জন্য তিনি CVSS আচার্যুলু স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯-এ একজন আইনজীবী হিসেবে পরিচিত হন এবং ১৯৯১ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।বিচারপতি রাও তার পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের বিচারক।দাদা বিচারপতি এম এস রামচন্দ্র রাও অন্ধ্র প্রদেশের হাইকোর্টের একজন বিচারপতি ছিলেন, বাবা বিচারপতি এম জগন্নাধা রাও ছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি (১৯৯৭-২০০০) এবং ভারতের আইন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

বিচারপতি রাওকে ২৯ জুন, ২০১২-এ অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ২০২১ সালের তাকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে বদলি করা হয়। এরপর ৩০ মে ২০২৩ তাকে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়।