শুভেন্দু-দিলীপ নয়, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বিরাট চমক, জানলেই চমকাবেন

শুভেন্দু অধিকারী বা দিলীপ ঘোষ নয়। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি পদে বিরাট চমক। পশ্চিমবঙ্গে দলের পরবর্তী সভাপতির দৌড়ে সামনের সারিতে উঠে এসেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ…

শুভেন্দু অধিকারী বা দিলীপ ঘোষ নয়। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি পদে বিরাট চমক। পশ্চিমবঙ্গে দলের পরবর্তী সভাপতির দৌড়ে সামনের সারিতে উঠে এসেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র সঙ্গে জগন্নাথের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন, আরএসএসের নির্দেশেই ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন জগন্নাথ।

সাংগাঠনিক অভিজ্ঞতার দিক থেকে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মধ্যে একদম প্রথম সারিয়ে রয়েছেন জগন্নাথ সরকার। দীর্ঘ ২২ বছর তিনি সঙ্ঘের মহকুমা, জেলা, বিভাগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিবিধ দায়িত্বে ছিলেন। সংগঠনের পাশাপাশি ভোটের ময়দানেও তাক লাগানো সাফল্য রয়েছে জগন্নাথের।

   

২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ছিলেন জগন্নাথ। ২০১৯ ও ২০২৪ পরপর দু’বার লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে উড়িয়ে সাংসদ হয়েছে হয়েছেন। ২০২১ সালে তীব্র সবুজ ঝড়ের মধ্যেও শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অজয় দেকে পরাজিত করেন। যদিও পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

বিজেপির এই তারকা সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে হলেই আনতে হবে আধার কার্ড!

সূত্রের খবর, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আরএসএসের সদর দফতর নাগপুরে ছিলেন জগন্নাথবাবুর স্ত্রী। তার কয়েক দিনের মধ্যে রানাঘাটের সাংসদে সঙ্গে দেখা করে যান বাংলার সদ্যপ্রাক্তন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপর থেকেই জগন্নাথের সভাপতি হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও জগন্নাথকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির একাংশের আপত্তি রয়েছে।

রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার

রাজ্যের ১২টি আসনে এবার জয়লাভ করেছে বিজেপি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্জিনে জয় পেয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ১,৮৬,৮৯৯ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীকে পরাজিত করেছেন তিনি। ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।

২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’, ঘোষণা অমিত শাহের, কী কৌশল বিজেপির?

তারপর তাঁকে টিকিট দেয় জোড়াফুল শিবির। তবে জগন্নাথের দাপটের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি মুকুট। ভোটের ফলই তার প্রমাণ। এই নিয়ে দু’বার রানাঘাট কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলেন শিক্ষক নেতা জগন্নাথ সরকার। ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী রূপালি বিশ্বাস ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ১২টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও বাংলায় খাতা খুলতে পারেনি বামেরা।

নীতিশ-নাইডুর বেপরোয়া ‘তোলাবাজি’তে বাজেটের আগেই চোখে সরষে-ফুল মোদীর?