নবান্নে শুরু মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘হাইভোল্টেজ’ বৈঠক, মিলবে কি সমাধান?

আজকে নবান্নের বৈঠকের জন্য এর আগে মুখ্যসচিব বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Mamata Banerjee-Junior Doctors Meeting) নবান্নে পৌঁছতে বলেছিলেন। আজকে ৪টে ২৯ মিনিটে নবান্নে…

আজকে নবান্নের বৈঠকের জন্য এর আগে মুখ্যসচিব বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Mamata Banerjee-Junior Doctors Meeting) নবান্নে পৌঁছতে বলেছিলেন। আজকে ৪টে ২৯ মিনিটে নবান্নে পৌঁছলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ৫টা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুরু।

১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক নবান্নে পৌঁছালেও তাঁদের সকলে ঢুকতে দেওয়া হবে কিনা সেই নিয়ে জল্পনা চলছে। ১৭ জনই ঢোকার অনুমতি পাবেন কিনা সেই নিয়ে চলছে আলোচনা। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে বেরিয়ে এলেন মুখ্যসচিব। নবান্নে পৌঁছেছেন চিকিৎসক যোগীরাজ রায়, চিকিৎসক দেবব্রত দাস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস ও আরজি করের অধ্যক্ষ সহ আরও অনেকে।

   

জানা যাচ্ছে, ১৭ জনকেই নবান্নে বৈঠকের জন্য ঢোকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নবান্ন সভাঘরে ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসককে ঢোকানো হয়েছে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার নবান্নে নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছনোয় আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রথমেই জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের বিভিন্ন দাবিগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বলতে শুরু করেছেন। এই বৈঠকে দেবাশিস বলেছেন, আরজি কর-কাণ্ড হয়েছে প্রতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণে। সেইসঙ্গে স্টেট টাস্ক ফোর্সে চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সেই বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাচ্ছেন, “স্টেট লেভেল ও কলেজ লেভেলে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকতে হবে।

নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের লিখিত আশ্বাস চাই।” যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা। থ্রেট কালচারের অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য কমিটি তৈরী করার দাবি। এর পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা এখন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, “মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। থ্রেট কালচারের পাশাপাশি সেখানে চলে যৌন হেনস্থা। অভিযোগ জানানোর মতো একটা জায়গা সেখানে তৈরী করা হোক।”

আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু চিঠি বেরিয়েছে।” পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা মানুষ অভিযুক্ত কিনা, প্রমাণ না পেলে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না।” এদিকে মুখ্যসচিব বলেন, “ইতিমধ্যে অনেক কাজ এগিয়েছে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে যাতে নিরাপদ পরিবেশ থাকে, তা আমাদেরও চেষ্টা। আমরা স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স করেছি। ইমেল আইডি দিয়েছি, যেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন।”

২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানালেন মুখ্যসচিব। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের চেষ্টা করছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “অনেক অধ্যক্ষ, সুপার নিজেদের কাজ করেন না। তোমাদের সঙ্গে আমি একমত। তাঁরা রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। আইনি জটিলতা কাটলেই দ্রুত নিয়োগ, সরকারের কোন অনীহা নেই।” 

তিনি আরও জানিয়েছেন, “আগে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার। আমরা এসে তা বৃদ্ধি করে ১৭ হাজার করেছি। ৩৫টি মেডিক্যাল কলেজ করেছি। পেডিয়াট্রিক বিভাগ প্রায় ৬০০। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে। ওগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। সেখানে সব চিকিৎসক দিলে হাসপাতাল চলবে কী করে?” সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্রের থেকে টাকা মেলে না। তারপরেও রাজ্যের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।”