গণঅভুত্থানে ছিটকে যাওয়া সেই রাজাপাক্ষে কী ছেলেকে দিয়ে ‘কামব্যাকে’র চেষ্টায়?

শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Election) রাজনীতিতে ফের কামব্যাক রাজাপাক্ষে (Mahinda Rajapakhsha) পরিবারের। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন দ্বীপরাষ্ট্রে। সেই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩৯ জন প্রার্থী লড়াই করবেন।…

Raja pakhse return and run in Sri lanka Politics

শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Election) রাজনীতিতে ফের কামব্যাক রাজাপাক্ষে (Mahinda Rajapakhsha) পরিবারের। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন দ্বীপরাষ্ট্রে। সেই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩৯ জন প্রার্থী লড়াই করবেন। এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর অংশগ্রহণ রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। যদিও এই তালিকায় কোনও মহিলা না থাকায় কিছুটা বিতর্কের আভাস মিলেছে সেদেশের রাজনীতির অন্দরে।

কেন শুক্রবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করল না কমিশন?

   

১৯৮২ সালের অক্টোবরে যখন প্রথম বার শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka Election)  প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল, তখন প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থীর সংখ্যাও। গত নির্বাচনে ২০১৯ সালে মোট ৩৫ জন প্রার্থী ছিলেন। এবার সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের পাশাপাশি লড়াইতে নামছে প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা রাজাপাক্ষের (Mahinda Rajapakhsha) পরিবারও। মাহিন্দ্রার ছেলে নমল এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়.রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতেও হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। 

অতীতে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে রাজাপাক্ষে (Mahinda Rajapakhsha) পরিবারের একচেটিয়া প্রভাব ও দুর্নীতি নিয়ে গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রে। ২০২২ সালে বিপুল আর্থিক বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ডুবতে হয়েছিল তত্কালীন রাজাপাক্ষে সরকারকে। সেই সময় মসনদে ছিলেন মাহিন্দ্রার ভাই গোতাবায়া রাজাপাক্ষে। চিনের ঋণের জালে বেকায়দায় পড়ে পতন হয় দুই ভাইয়ের রাজত্বের।

আরজি কর গুন্ডামির জায়গা নয়, ‘রাম-বাম’ জোটকে তীব্র হুঙ্কার মমতার

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেও (Mahinda Rajapakhsha) দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এবার ধীরে ধীরে ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজাপাক্ষে পরিবার। চিনপন্থী এই পরিবার ফের মসনদে ফিরলে ভারতের পক্ষে কতটা ইতিবাচক হবে তা সময়ই বলবে তবে কলম্বোর মসনদে তিনি আদৌ বসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে এখনও সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।