কলকাতা: মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ শিলান্যাস হয়ে গেল (Kunal Ghosh on Babri Mosque issue)। রাজনৈতিক আবহ এই মুহূর্তে ভীষণই উত্তপ্ত বঙ্গে। এই আবহেই মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তিনি এই ইস্যুতে সরব হয়ে বলেছে মন্দির মসজিদ তৈরী করা নিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায়না। তিনি বলেন ধর্ম প্রত্যেকের। তাই মন্দির, মসজিদ নির্মাণে কারুর শাস্তি হতে পারে না।
কিন্তু কেউ যদি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পড়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মেরুকরণের রাজনীতি করেন তাহলে তা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই মন্দির বা মসজিদ নির্মাণে আপত্তি করেনি কিন্তু কখনোই মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়নি। কুনাল তার ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে হুমায়ুন কবির বিজেপির রাজনৈতিক নীতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
কল্যাণ চৌবের অপসারণের চেয়ে ফুটবলভক্তদের এই দিন আন্দোলনের বার্তা বাজাজের
তৃণমূল এর আগেও একাধিকবার বিজেপির বাংলায় হিন্দু মুসলিম মেরুকরণের চেষ্টার অভিযোগ করেছে। তাই এই বাবরি ইস্যুতেও তারা হুমায়ূনকে সরাসরি বিজেপির দালাল বলে দাগিয়ে দিয়েছে। কুনালের মতে এই ঘটনা কোনো ধর্মীয় ঘটনা নয় এই ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটানো এবং বাংলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তৈরী করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয় কুনাল ঘোষ তার বার্তায় বলেন যে একদল রাজনীতিবিদ সবসময় চেষ্টা করছেন ধর্মকে টেনে নিয়ে এসে রাজনীতি করতে। তিনি বলেন মন্দির, মসজিদ কিংবা গীতা পথ সব কিছুতেই আজকাল রাজনীতি। আগামীকাল ব্রিগেড ময়দানে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান রয়েছে। এই অনুষ্ঠানকেও কটাক্ষ করে কুনাল বলেন যে এই ধরণের অনুষ্ঠান রাজনৈতিক মদতপুষ্ট অনুষ্ঠান। তার মতে গীতা হিন্দুদের হৃদয়ে রয়েছে কিন্তু জাকজমক করে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডা ছাড়া আর কিছু নয়।
হুমায়ূনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন হুমায়ুন যেভাবে ধর্ম এবং রাজনীতিকে একসঙ্গে মিশিয়ে বাংলায় মেরুকরণ করার চেষ্টা করছেন তাতে তার গুরুতর শাস্তি হওয়া উচিত। আবার রাজনৈতিক মহলের একনাগস তাদের মত পোষণ করে বলেছেন যে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে তারা আর মুসলিম ভোট পাবে না। তাই তারা এখন থেকেই প্রমাদ গুনছে। বিজেপি আগেভাগেই অভিযোগ করেছে যে মমতা বন্দোপাধ্যায় নাটক করে এই ধরণের কাজ করাচ্ছেন। তবে হুমায়ুন শাস্তি পাবে কিনা বা এই বাবরি মসজিদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা সময়ই বলবে।


