TMC: ফেরদৌস বিতর্ক ভুলে মোশারফ করিমকে দিয়ে তৃণমুলের প্রচার বার্তা,বিতর্কে মন্ত্রী ব্রাত্য

তৃণমূলের ভোট প্রচারের ফের বিদেশি নাগরিক তথা চলচ্চিত্র অভিনেতাকে আনার বার্তা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তৃ়ণমূলের ভোট প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা মোশারফ করিমকে আনার বার্তা দিয়ে…

Bratya Basu

তৃণমূলের ভোট প্রচারের ফের বিদেশি নাগরিক তথা চলচ্চিত্র অভিনেতাকে আনার বার্তা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তৃ়ণমূলের ভোট প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা মোশারফ করিমকে আনার বার্তা দিয়ে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিতর্কে জড়ালেন। গত বিধানসভা ভোটের প্রচারে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌসকে প্রচারে নামিয়ে প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছিল তৃ়ণমূল। ভারত সরকার ফেরদৌসকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। সেই বিতর্কের পরেও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) কী করে মোশারফ করিমের মতো বিদেশিকে দিয়ে ভারতের মাটিতে ভোট প্রচারের বার্তা দিলেন এমনই প্রশ্ন উঠছে।

ভোট পেতে তৃণমূলের ভরসা বাংলাদেশি অভিনেতা। অশোকনগরে বাংলাদেশি অভিনেতাকে আনার টোপ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । বললেন, মোশারফ করিমকে দেখতে হলে ২০২৪ এর ভোটে অশোকনগরে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে বিরাট ভোটে জয়ী করতে হবে। ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

ভারতে এসে বাংলাদেশি অ়ভিনেতা ফেরদৌস উত্তরদিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃ়ণমূলের ভোট প্রচার করেছিলেন। পরে চাপের মুখে তিনি ভারত ছেড়েছিলেন। সেই ফেরদৌস আহমেদ এবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সেদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী।বিদেশি নাগরিক দিয়ে ভোট প্রচার বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

ব্রাত্যের এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কাকলি গত বার বারাসত আসন থেকে সাংসদ হয়েছেন। ব্রাত্যের বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। 

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তিনি বলেছেন মোশারফ করিমকে এখানে আনবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী করে দেবেন এটা বলেননি এটাই ভাগ্য ভালো আমাদের।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ব্রাত্য বসু কাল নাট্যোৎসবে ছিলেন৷ নাটকের উৎসবকেও তৃণমূল ভোট প্রচারের মাধ্যম করে ফেলেছে, এটা শুধু নাট্যোৎসবের পরিচালকদের অসম্মান করা নয় নাট্যকর্মীদের অসম্মান করাও হয় এবং দর্শকমন্ডলী তাদেরকে ডেকে এনে জোর করে তৃণমূলের কথা শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়। যদি ওই নাটকের অভিনেতাকে ভালোভাবে দেখতে চান তাহলে কাকলি ঘোষদস্তিদারকে বিপুল ভোটে জেতাতে হবে। সুতরাং নাটকের দলের আসা বা না আসা নির্ভর করছে কাকলি ঘোষদস্তিদারের জেতার উপর। এটা গোটা নাট্য সমাজকে অসম্মান করা হচ্ছে।