ইজরায়েলের ওপর ২৫০ টি রকেট ছুঁড়ে ভয়াবহ হামলা হামাসের, বিধ্বস্ত তেল আভিভ

রবিবার ইসরায়েল (Israel) এবং হিজবুল্লাহর (Hezbollah) মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর (Hezbollah) দক্ষিণ বৈরুতের শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে। লেবাননের (Lebanon) গণমাধ্যম…

Hezbollah Fires 250 Rockets Into Israeli After Strike on Lebanon

রবিবার ইসরায়েল (Israel) এবং হিজবুল্লাহর (Hezbollah) মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর (Hezbollah) দক্ষিণ বৈরুতের শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে। লেবাননের (Lebanon) গণমাধ্যম জানায়, সীমান্ত এলাকায় তীব্র লড়াই চলছে। এর জবাবে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ (Hezbollah) ইসরায়েলের (Israel) দিকে প্রায় ২৫০টি রকেট ও অন্যান্য প্রজেকটাইল নিক্ষেপ করেছে, যা গত কয়েক মাসের মধ্যে তাদের অন্যতম বৃহৎ হামলা। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

মহারাষ্ট্র ভোটে গুন্ডাগিরি চালিয়েছে বিরোধীরা, কংগ্রেসকে নিশানা মোদীর 

   

ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর নিক্ষেপ করা রকেটের কিছু অংশ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি রকেট মধ্য ইসরায়েলের ঘরবাড়িতে আঘাত করে ক্ষতি সাধন করেছে। এএফপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু প্রজেকটাইল তেল আবিব (Tel Aviv) এলাকায় পৌঁছেছে, যা ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। 

ইসরায়েল ও লেবাননের সীমান্ত অঞ্চল বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাগুলির আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। লেবাননের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, যার ফলে সেখানে প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতেই তারা এই রকেট হামলা চালিয়েছে। সংগঠনটি দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করেছে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। 

উত্তরপ্রদেশে সম্ভালে মসজিদ সমীক্ষা ঘিরে সংঘর্ষ অব্যাহত, মৃত ৪

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট হামলা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় হুমকি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

এই সংঘর্ষ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। লেবানন ও ইসরায়েল উভয় পক্ষকেই উত্তেজনা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হলে মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ বর্তমানে চরম দুর্ভোগের শিকার। লড়াইয়ের ফলে স্থানীয় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। লেবাননের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “প্রতিদিন এই সংঘর্ষের কারণে আমাদের জীবনে আতঙ্ক বেড়ে চলেছে। আমরা জানি না, কখন আমাদের গ্রামে আক্রমণ হবে।” 

তৃণমূলের বৈঠকে সাংগঠনিক পরিবর্তন, ২০২৬ নির্বাচনে নতুন রূপরেখা

বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ আরও তীব্র হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাত শুধু সীমান্ত অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং তা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।