কে হবেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি? একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা

bjp-west-bengal-bengal-bjp-may-appoints-female-state-president-key-leadership-update

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। আর তাই নতুন রাজ্য সভাপতির (BJP West Bengal) নাম ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগগা। আরও বেশ কয়েকজন নেতার নাম নিয়ে জল্পনা চলছে।

Advertisements

এদিকে আরেকটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে তাঁকে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও বর্ষীয়ান নেতাকে বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে। সেই দৌড়ে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক বর্ষীয়ান বিধায়ক। দক্ষিণবঙ্গের এক বিধায়কের নাম নিয়েও জল্পনা চলছে।

   

আরও ৩-৪টে আসন পেতাম, বিজেপি ভোট লুট করেছে, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

দিলীপ ঘোষকেও রাজ্য সভাপতি করতে পারে বিজেপি। দিলীপের নেতৃত্বেই উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। যদিও একুশের নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। সেই কারণেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপকে। বাংলায় বিজেপির সংগঠন হাতের তালুর মতো চেনেন দিলীপ। তাই তাঁকে রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। 

প্রসঙ্গত, এদিন দুপুরে জানা যায় মন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিজেপিতে একই সঙ্গে দুটি পদে থাকা যায় না। সেই কারণেই সুকান্তকে মন্ত্রী করা হলে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে হবে বঙ্গ বিজেপিকে। এছাড়াও রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্তর মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই জুনেই। ফলে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি পদে বদল আসছেই।

জুনেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বদল

২০২১ সালে ২১ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে হঠাৎ দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই দিন সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হয়, রাজ্যে বিজেপির নতুন সভাপতি হচ্ছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করে বিজেপি হাইকমান্ড।

Advertisements

দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ নির্বাচনভিত্তিক এবং তার মেয়াদ থাকে তিন বছর। এক জন ব্যক্তি একটানা দু’দফায় মোট ৬ বছর সভাপতি থাকতে পারেন। তবে শুধুমাত্র নির্বাচনে ভিত্তিতে নয়, অ্যাড হক ভিত্তিতেও নিয়োগ করা হয়ে থাকে রাজ্য সভাপতিকে। দিলীপ ঘোষকে অ্যাড হক ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। পরে সাংগঠনিক নির্বাচনেও তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতি থেকে যান।

অভিষেককে নয়! দলের অন্য ৬ সাংসদকে বিরাট দায়িত্ব দিলেন মমতা

২০২১ এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে দলকে ধরে রাখতে না পারার কারণেই দিলীপের ওপর রুষ্ট হন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে সেই পদে নিয়ে আসা হয় আরএসএস ঘরানার তরুণ অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদারকে।

সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষকে পরাজিত করে বালুরঘাট থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন তিনি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় এমএসসি, বিএড এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন সুকান্ত। মালদহ জেলার গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক তিনি।

‘এনডিএ সরকার টিকবে না, ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়া’, তারিখ বলে দিলেন মমতা!