‘ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য’ বলে মমতা রাজ্যকে কটাক্ষ বিজেপির

দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে (Bengal Politics)। ওড়িশার জলেশ্বরের এই ছাত্রী শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর…

bjp-slams-mamata-government-calling-west-bengal-paradise-for-rapists-bengal-politics

দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে (Bengal Politics)। ওড়িশার জলেশ্বরের এই ছাত্রী শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে ডিনারের জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের দল তাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করে, ফোন ছিনিয়ে টাকা দাবি করে এবং হুমকি দেয়।

Advertisements

এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছে।বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের ‘তোষণ নীতি’ এবং ‘আইনশৃঙ্খলার অভাব’ রাজ্যকে মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক করে তুলেছে।

Advertisements

দুর্গাপুরের ঘটনায় মমতা-সরকারকে তুলোধোনা করলেন অভয়ার বাবা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে পশ্চিমবঙ্গ ধর্ষকদের ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে।” তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণের পর এবার দুর্গাপুরে আরেকটি ভয়াবহ অপরাধ। একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার।

মমতার ব্যর্থ শাসনে ঘর থেকে হাসপাতাল—কোথাও মহিলারা নিরাপদ নয়।” বিজেপি দাবি করছে, তৃণমূলের শাসনে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। পাল্টা জবাবে, পশ্চিমবঙ্গের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বিজেপিকে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “অভিযোগকারিণীর পরিবার ওড়িশা থেকে এসেছে এবং তদন্তে পূর্ণ আস্থা রেখেছে।

তিনি আরও বলেছেন রাজ্য পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বিজেপির উচিত এমন বেদনাদায়ক ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার না করা। শশী পাঁজা অভিযোগ করেছেন বিজেপি সব অপরাধকে রাজনৈতিক চশমায় দেখে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কলকাতা এখনও ভারতের নিরাপদ শহরগুলোর মধ্যে একটি, এবং আমাদের সরকার মহিলাদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়।”পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (ইস্ট) অভিষেক গুপ্ত বলেন, “সংবেদনশীল বিষয়, সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত চলছে।” ছাত্রীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তার বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খোঁজা হচ্ছে, এবং ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করবে। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে সিসিটিভি বা পর্যাপ্ত আলোর অভাব তদন্তে জটিলতা তৈরি করছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুর যাচ্ছে। সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “বাংলায় মহিলাদের উপর অপরাধ বাড়ছে। পুলিশের প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অভাব দুঃখজনক।”