কে হবেন বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি? একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা

   কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর তাই দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। নতুন সভাপতি কে হবেন? কার…

bjp-flag
  

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর তাই দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। নতুন সভাপতি কে হবেন? কার কাঁধে ভর করে গোটা দেশের ‘পদ্মের চাষ’ শুরু হবে? তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।

বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে যে সমস্ত নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, সেগুলি হল – জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ওম প্রকাশ মাথুর, ওবিসি মোর্চার প্রধান কে লক্ষ্মণ, প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একটি সূত্রের দাবি, স্মৃতি ইরানিকে সভাপতি করতে পারে বিজেপি।

   

২০১৯ অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিজেপির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেন জেপি নাড্ডা। পরে ২০২০ সাল থেকে তিনি সর্বভারতীয় সভাপতির পদ পান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই নাড্ডার সভাপতি পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জুন মাস পর্যন্ত তাঁর পদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

‘অপেক্ষায় ভয়ঙ্কর প্রত্যাখ্যান’, বড় ভবিষ্যতবাণী দেবাংশুর

এদিকে বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। আর তাই নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগগা। আরও বেশ কয়েকজন নেতার নাম নিয়ে জল্পনা চলছে।

এদিকে আরেকটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে তাঁকে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও বর্ষীয়ান নেতাকে বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে। সেই দৌড়ে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক বর্ষীয়ান বিধায়ক। দক্ষিণবঙ্গের এক বিধায়কের নাম নিয়েও জল্পনা চলছে।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাংলার দুই সাংসদ সুকান্ত-শান্তনু

দিলীপ ঘোষকেও রাজ্য সভাপতি করতে পারে বিজেপি। দিলীপের নেতৃত্বেই উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। যদিও একুশের নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। সেই কারণেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপকে। বাংলায় বিজেপির সংগঠন হাতের তালুর মতো চেনেন দিলীপ। তাই তাঁকে রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে।