Advertisements

বিজেপি শাসিত রাজ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সরকারি বাস ভাংচুর কৃষকদের

beed-farm-pond-protest-turns-violent-buses-damaged-six-injured

মহারাষ্ট্রের বীড জেলায় কৃষি পুকুর নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কৈজ তহসিল এলাকা। টানা ১২ দিন ধরে স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভ মঙ্গলবার হঠাৎই হিংসাত্মক রূপ নেয়।

Advertisements

কৃষকদের একটি অংশ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে, এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রতিবাদকারীরা রাস্তা অবরোধ করে পাথর ছোঁড়া শুরু করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (MSRTC) অন্তত পাঁচটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।

বিদায় জানিয়েছে চেন্নাইয়িন, দক্ষিণের এই ক্লাব প্রসঙ্গে কী বললেন এই উইঙ্গার?

Advertisements

ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন বাসযাত্রী এবং দুইজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিক্ষোভটি মূলত কৃষি পুকুর নির্মাণের দাবিতে শুরু হয়েছিল। কৈজ এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, পর্যাপ্ত জলাধার বা পুকুর না থাকায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।

বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া এবং ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়ায় কৃষকদের জীবন-জীবিকা প্রভাবিত হচ্ছে। এই কারণেই স্থানীয় এক কৃষক নেতা ‘কৃষি পুকুর প্রকল্প’-এর দাবি নিয়ে ১২ দিন ধরে অনশন ও বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন।

কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এবং কয়েকটি সরকারি বাসে পাথর ছোঁড়েন। এর ফলে বহু যাত্রী আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু ভাঙচুর থামাতে গিয়ে সংঘর্ষ বাধে।

বীড জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড়া হবে না।” ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, কৃষি পুকুর তৈরির দাবি ন্যায্য হলেও, এই ধরনের হিংসাত্মক পদ্ধতি কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে, কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, প্রশাসন যদি আগে থেকেই আলোচনায় বসত এবং তাদের দাবিগুলো শুনত, তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মহারাষ্ট্রে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে খরা-প্রবণ অঞ্চলে জলসংকট এবং ফসলহানির কারণে সরকারবিরোধী সুর জোরালো হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রশাসনের শৈথিল্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

এদিকে, ঘটনাস্থলে মোতায়েন থাকা পুলিশ বাহিনী বুধবার সকাল পর্যন্ত টহল দিচ্ছে। বাস পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, যাতে নতুন করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। প্রশাসনের তরফে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যাতে দ্রুত সমাধান বেরিয়ে আসে।

Advertisements