HomeBharatPoliticsবাবরি নিয়ে হুমায়ূনকে তুলোধোনা সুকান্তর

বাবরি নিয়ে হুমায়ূনকে তুলোধোনা সুকান্তর

- Advertisement -

মুর্শিদাবাদ, ২৭ নভেম্বর: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের ‘বাবরি মসজিদ’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা বাড়িয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিধায়কের এই বক্তব্যের জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তিনি এই ঘোষণাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ‘খোলা হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার সঙ্গে করে হুমায়ুন কবিরকে বাবরনামা পড়তে এবং ঐতিহাসিক সত্যতা যাচাই করতে বলেছেন। সুকান্ত তার মন্তব্যে বলেছেন এই সব হুমায়ূনরা মাদ্রাসা ছাপ। এদের কোনও পড়াশুনো নেই এবং এদের কাজই হল ধর্মের নাম রাজনীতি করা।

   

ভারত সফরে আসবেন ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সুপারসনিক গতিতে হবে BrahMos চুক্তি?

হুমায়ুন কবির সম্প্রতি তার মন্তব্যে বলেছেন “মুর্শিদাবাদে আমরা বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব।” আগামী ৬ ডিসেম্বর এই বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে তাও জানান বিধায়ক। এই বক্তব্য আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সংগঠনগুলো এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিধায়কের এই ঘোষণা অযোধ্যার বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কের স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “এটি হিন্দুদের প্রতি খোলা হুমকি। এই ব্যক্তি আগেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন।” তিনি হুমায়ুন কবিরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “তাকে বাবরনামা পড়তে বলছি। বাবরি কে ছিলেন, বাবরের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী ছিল, ইসলামে তাকে গ্রহণ করা হয় কি না—এসব জানতে হবে।”সুকান্ত মজুমদার আরও যোগ করেন, “তারা কিছুই পড়ে না। প্রথমে ইতিহাস পড়ুক, তারপর এ ধরনের বক্তব্য দেবে।”

তাঁর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটবাবরি মসজিদ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অযোধ্যার ১৫২৮ সালে নির্মিত মসজিদটি। ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি এটি নির্মাণ করেছিলেন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে উল্লিখিত ‘বাবরি’ শব্দটি এই ঐতিহাসিক সত্যতার দিকে ইঙ্গিত করে। তাঁর মতে, হুমায়ুন কবির এই ঘোষণা ইতিহাসের অসম্মান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর।

বিজেপি নেতারা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি নেতা বলেছেন, “এই ধরনের বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। সরকারকে তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নিতে হবে।”তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা যদিও এই বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না, তবে দলীয় নেতৃত্ব এখনও কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া জানায়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতা মুর্শিদাবাদে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন।স্থানীয় জনগণের প্রতিক্রিয়ামুর্শিদাবাদের স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘোষণায় উদ্বিগ্ন।

একজন ব্যবসায়ী বললেন, “এখানে শান্তি ছিল। এ ধরনের বক্তব্য আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করবে।” একইসঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই হুমায়ুনের বক্তব্যকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছেন এই বাবরি মসজিদ তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলে মনে করছেন রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পটভূমিতে এই ঘটনা মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular