প্রাণনাশের হুমকির জেরে নিরাপত্তা পেলেন নিহত হিন্দু নেতার স্ত্রী

এবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল হিন্দু নেতা কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রী কিরণ তিওয়ারিকে। এদিকে হুমকি ভরা চিঠি পাওয়ার পর তাঁর নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে…

এবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল হিন্দু নেতা কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রী কিরণ তিওয়ারিকে। এদিকে হুমকি ভরা চিঠি পাওয়ার পর তাঁর নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।

বর্তমানে কিরণ তিওয়ারির বাড়িতে ৭ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজস্থানের উদয়পুর ও মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কিরণ তিওয়ারির নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লখনউ পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর নিজের বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় কমলেশ তিওয়ারিকে। কমলেশকে খুনের পর একাধিকবার হুমকি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

উদয়পুরের ঘটনার পর, কিরণ তিওয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উন্নাওয়ের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ এবং সাধ্বী প্রজ্ঞার ছবিগুলিতে একটি লক্ষ্য এবং ক্রস চিহ্ন সহ চার পৃষ্ঠার একটি হুমকি চিঠি পেয়েছেন। এই হুমকির পর, পুলিশ কিরণের বাড়িতে একজন মহিলা কনস্টেবল সহ সাত জন পুলিশ মোতায়েন করেছে। কিরণ তিওয়ারি জানিয়েছেন, হুমকি চিঠি পাওয়ার পর তাঁর কাছেও তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের তরফে ফোনে যাবতীয় তথ্য জানানো হলেও, পুলিশও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

কিরণ তিওয়ারি খুরশীদাবাদ পুলিশ স্টেশনে তাঁর অফিসে চিঠিটি পেয়েছিলেন যা উর্দুতে লেখা ছিল। গত ২২ জুন তিনি চিঠিটি পান। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তল্লাশি করে নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর রেজিস্টারে ঢোকানো হচ্ছে। কিরণ তিওয়ারি জানিয়েছেন, হুমকি চিঠি পাওয়ার পর তাঁর কাছেও তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাদের পক্ষ থেকে ফোন করে পুরো তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।

২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর হিন্দু সমাজ পার্টির সভাপতি কমলেশ তিওয়ারিকে লখনউয়ের নাকা হিন্দোলায় তাঁর অফিসে শ্বাসরোধ করে খুন করে দুই ব্যক্তি। গেরুয়া কুর্তা পরিহিত অভিযুক্তরা মিষ্টির বাক্সে লুকিয়ে ছুরি ও পিস্তল নিয়ে আসে। এরপর কমলেশ তিওয়ারির গলায় ১৫ টিরও বেশি আঘাত করেছিলেন। পরে তারা তাদের গুলি করে পালিয়ে যায়। ধৃত অভিযুক্ত শেখ আশফাক ও পাঠান মইনুদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে নবী মহম্মদকে নিয়ে কমলেশ তিওয়ারি যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে তাঁরা ক্ষুব্ধ।