কৃষি আইন বাতিল: মোদীকে যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক বলে উল্লেখ শাহের

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কৃষকদের প্রবল আন্দোলনের চাপে নতজানু হয়ে শেষ পর্যন্ত তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। মোদির এই…

Modi with amit

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কৃষকদের প্রবল আন্দোলনের চাপে নতজানু হয়ে শেষ পর্যন্ত তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। মোদির এই সিদ্ধান্তকে যথারীতি স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(amit Shah )। শাহকে রাজনীতিতে সকলেই মোদির ডান হাত বলে চেনে। তাই আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শাহ মোদির মধ্যে একজন যোগ্য রাষ্ট্রনায়ককে খুঁজে পেয়েছেন।

রাজনৈতিক মহলে অমিত শাহ কার্যত মোদির মোসাহেব বলেই পরিচিত। সে কারণেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ বলেছেন তিনি। শাহ এদিন টুইট করেন, কৃষকদের (farmer) স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে কোনও ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। সে কারণেই তিনি কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসাধারণ এক রাষ্ট্রনায়কদের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

   

modi farm laws withdrawal announcement

শাহর এই টুইট বার্তায় এটা স্পষ্ট যে কৃষি আইন প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তকে তিনিও সর্বতোভাবে সমর্থন করছেন। কৃষি আইন বাতিলের (cancell) জন্য মোদিকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে অমিত শাহ অনেক কথাই বলেছেন। বেশিরভাগ কথাই মোদিকে তোল্লা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয় বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। শাহ বলেন, গুরু পরবের মতো একটি শুভ দিনেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এখানে তাঁর চিন্তা-ভাবনার অভিনবত্ব। এখানেই নরেন্দ্র মোদি অন্যদের থেকে আলাদা। মোদির এই সিদ্ধান্তে এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী কৃষকের উন্নতি ছাড়া আর কিছুই ভাবেন না। প্রকৃতই যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আজ এক অনন্য নজির গড়লেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন কৃষি আইন তৈরি করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই আইন পাস হওয়ার পরই তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকরা। দীর্ঘ এক বছর পথে নেমে তাঁরা আন্দোলন করে যাচ্ছিলেন। কৃষকদের এই প্রতিবাদ আন্দোলন যে ভুল ছিল না তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। যা চরম সমস্যায় ফেলেছে গোটা দেশের মানুষকে। ইতিমধ্যেই ১৩ টি রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভা উপনির্বাচনের তার ফলও পেয়েছে বিজেপি।

যদিও প্রথম থেকেই মোদি সরকারের দাবি ছিল কৃষক ও দেশের মানুষের উন্নয়ন করতেই তারা এই আইন করেছে। কিন্তু বাস্তব যে ভিন্ন কথা বলছে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশবাসী তথা কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ প্রতিটি রাজ্যের কৃষকরা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত কৃষকদের কাছে হাঁটু মুড়ে বসতে হল মোদিকে।

অমিত শাহর এদিনের মন্তব্য সম্পর্কে রাজনৈতিক মহল মুখ খুলেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, অমিত শাহ মোদিকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করেন। আলাদাভাবে কিছু করে ওঠার মত ক্ষমতা তাঁর নেই। চলতি বছরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে অমিত শাহ কী করতে পারেন। তাই মোদিকে সমর্থন করে তাঁর সুনজরে থাকার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর নামে এত প্রশংসা করেছেন তিনি।