নয়াদিল্লি: ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে পাঞ্জাব, হিমাচল সহ উত্তরভারতের একাধিক অঞ্চল। চলতি বর্ষার মরশুমে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব। অন্যদিকে, ধ্বস, হড়পা বাণে ত্রস্ত হিমাচল প্রদেশ। মঙ্গলবার পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল দুপুর দেড়টা নাগাদ হিমাচলের কাঙ্গরা জেলায় পৌঁছে সরকারি আধিকারিকদের থেকে বর্তমানে হিমাচলের বন্যা ও ধ্বসের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
সেইসঙ্গে জাতীয় এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আপদা মিত্র টিমের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর বেলা ৩ টে নাগাদ পাঞ্জাবে পৌঁছে আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি জরিপ করবেন তিনি। বিকেল ৪.১৫ নাগাদ গুরুদাসপুড়ে পৌঁছে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে পাঞ্জাবের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি জানবেন। বন্যা কবলিত মানুষ এবং জাতীয় এবং রাজ্য মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।
বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং সঠিক ভাবে ত্রাণ পৌঁছনর নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবার হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। বর্ষায় হিমাচলের পরিস্থিতি এরকম হলে আগামী দিনে কীভাবে রাজ্য নিজের পায়ে দাঁড়াবে!” উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
প্রবল বর্ষার জেরে বানভাসি প্রায় ১৪০০ টি গ্রাম বলে জানান তিনি। রবিবার বিজেপি পাঞ্জাব ইউনিট এক পোস্টে উল্লেখ করে, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর প্রমাণ করে যে, কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় পাঞ্জাবের মানুষের পাশে রয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে পূর্ণ সমর্থন প্রদান করবে।” সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। এটি বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে অর্থ, খাদ্য, আশ্রয় এবং পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা দেবে।