ট্রাম্পের সৌহার্দ্যের পোস্ট! জবাবে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?

নয়াদিল্লি: ভারত ও আমেরিকা ‘‘স্বাভাবিক অংশীদার’’, বুধবার এক্সে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তার প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর এই উক্তি। ট্রাম্প…

PM Modi responds to Trump's post

নয়াদিল্লি: ভারত ও আমেরিকা ‘‘স্বাভাবিক অংশীদার’’, বুধবার এক্সে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তার প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর এই উক্তি। ট্রাম্প একদিন আগেই মোদীকে ‘‘প্রিয় বন্ধু’’ আখ্যা দিয়ে স্থগিত বাণিজ্য আলোচনায় নতুন গতি আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন আলেনার অপেক্ষায়..

ভারত ও আমেরিকা ঘনিষ্ঠ বন্ধু

মোদী জবাবে লেখেন, ‘‘ভারত ও আমেরিকা ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক অংশীদার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চলমান বাণিজ্য আলোচনা দুই দেশের অংশীদারিত্বের সীমাহীন সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। আমাদের টিম দ্রুততম সময়ে এই আলোচনাকে সম্পূর্ণ করার জন্য কাজ করছে।’’ তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলার অপেক্ষায় রয়েছেন।

   

অন্যদিকে ট্রাম্প তাঁর প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, দুই মহান দেশের স্বার্থেই বাণিজ্য আলোচনায় দ্রুত সফল পরিণতি আসবে।’’

তবে এই উষ্ণতা নতুন। কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ সহকারীরা রাশিয়ার সস্তা তেল আমদানিকে ঘিরে ভারতকে ‘‘ক্রেমলিনের মানি লন্ড্রির ঘাঁটি’’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘‘মোদীর যুদ্ধ’’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। ট্রাম্প নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমেরিকা ‘‘ভারতকে হারিয়েছে অন্ধকারতম চিনের কাছে’’, কারণ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে মোদী, পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সৌহার্দ্যপূর্ণ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল।

মোদীর সঙ্গে বন্ধুত্বে জোর PM Modi responds to Trump’s post

কিন্তু সপ্তাহ শেষে সুর পাল্টে গেল। ট্রাম্প ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে ‘‘বিশেষ’’ আখ্যা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে মোদীর সঙ্গে তাঁর বন্ধনকে জোর দিলেন। মোদী পাল্টা জানালেন, তিনি প্রেসিডেন্টের ইতিবাচক বার্তাকে ‘‘সমানভাবে মূল্যায়ন ও আন্তরিকভাবে প্রতিফলিত’’ করছেন।

Advertisements

এই আবহেই মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও কিছুটা সুর নরম করেছেন। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি বাণিজ্য নিয়ে মতপার্থক্যের কথা তিনি স্পষ্ট করেছেন, তবে তাঁর বিশ্বাস— দুই দেশের সম্পর্কের দৃঢ়তা এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শেষ পর্যন্ত দুই মহান দেশই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে নেবে।’’

তবে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পিটার নাভারো এর ব্যতিক্রম। তিনি একের পর এক আক্রমণে ভারতকে নিশানা করেছেন— কখনও ‘‘ক্রেমলিনের মানি লন্ড্রির ঘাঁটি’’ বলেছেন, আবার কখনও এমন মন্তব্য করেছেন যা সরাসরি বর্ণবিদ্বেষ ও জাতপাত বিদ্রূপের গন্ধ বহন করে।

এই দ্বিমুখী কূটনৈতিক আবহেই নয়াদিল্লি মস্কো ও বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে। একই সঙ্গে এসসিও’র মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ভারত কার্যত বার্তা দিচ্ছে— ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া একপাক্ষিক শর্তে নয়, বরং বহুপাক্ষিকতার শক্তিতেই তার কূটনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।

Bharat: Prime Minister Modi calls the US and India “natural partners,” responding to President Donald Trump’s warm message. The exchange signals a renewed push for trade talks, easing recent tensions after prior criticisms over Russia and China.