১৩ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)জম্মু ও কাশ্মীরের গন্দরবাল জেলার সোনমার্গে জে-মোর্হ টানেলের উদ্বোধন করেছেন। সোনমার্গে এই অত্যাধুনিক টানেলের উদ্বোধনটি পূর্ব পোর্টাল থেকে করা হয়, যেখানে সাম্প্রতিক তুষারপাতের কারণে পুরো এলাকা সাদা হয়ে গেছে।
এই ঐতিহাসিক উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি, ড. জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি(Narendra Modi) টানেলের ভিতরে সফর করেন এবং সেখানে টানেল নির্মাণের সময় কঠোর আবহাওয়ার শর্তের বিষয়ে অবহিত হন। এই টানেলটি কাশ্মীরের সোনমার্গকে একটি অল-ওয়েদার রোড প্রদান করবে, যা পর্যটন ও রক্ষনাবেক্ষণ উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।
টানেলটি নির্মিত হয়েছে হিমালয়ের প্রভাবশালী পাহাড় কেটে, যেখানে আবহাওয়ার অবস্থা অত্যন্ত কঠিন ছিল। এটি কেবল সোনমার্গ পর্যটন বৃদ্ধি করবে না, বরং এটি দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, কারণ এটি চূড়ান্তভাবে সশস্ত্র বাহিনীর চলাচলকে আরও সহজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি(Narendra Modi)সকাল ১০.৪৫ টায় শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং সেখান থেকে সোনমার্গচলে যান টানেলের উদ্বোধনের জন্য। তিনি তার সফরের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে টানেলটির নির্মাণ কাজের ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি টানেলটি নির্মাণের সময় নানা ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা ও আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের প্রশংসা করেন।
এই টানেলের মাধ্যমে সোনমার্গ থেকে শ্রীনগরের যাতায়াত সময়ের ব্যাপক সাশ্রয় হবে। শুধু তাই নয় এটি শীতকালে সেই পথে চলাচল সহজ করবে, যখন অন্যান্য রাস্তাগুলি বরফে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর যাতায়াতের ক্ষমতা এবং এলাকায় নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।
এছাড়া, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কাশ্মীরের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। এটি কেবল স্থানীয় জনগণের সুবিধার জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠবে। এই উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটছে, যেখানে দেশের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা একসঙ্গে অগ্রগতির পথে চলছে।
এই উদ্বোধনের সময়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি সোনামার্গের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, “এই টানেলটি কেবল কাশ্মীরের জন্য নয়, দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য একটি মাইলফলক। এই ধরনের অবকাঠামোগত উদ্যোগ ভারতের সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”